শীর্ষ সংবা
ইলিয়াসকে নিয়ে খবরের ঘনঘটা
| ||||
|
ইলিয়াসের বনানীর বাড়িতে রাত ১১টা থেকে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের কেউ কেউ রাত ১টার পরও সেখানে অবস্থান করছিলেন।
বিএনপির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদককে উদ্ধারে গাজীপুরের পূবাইলে সন্ধ্যা থেকে তিন ঘণ্টা র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান এবং এরপর তার স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকরা ইলিয়াসের বাড়ির ফটকে অবস্থান নেন।
সেখানে অপেক্ষমাণ দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিবেদক রিজওয়ান বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বার্তাপ্রধানের নির্দেশনায় এখানে এসেছি। তিনি অপেক্ষা করতে বলেছেন।”
খালেদার সঙ্গে রাত পৌনে ১১টায় সাক্ষাৎ শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সামনে দিয়েই বাসায় ফেরেন ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসীনা। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এর কিছুক্ষণ আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের সঙ্গে গাজীপুর অভিযানে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
এদিকে ইলিয়াসকে উদ্ধারে সর্বশেষ খবর জানতে যোগাযোগ করা হলে র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রাত ১২ টায় বলেন, “নো নিউজ, নো ডেভেলপমেন্ট।”
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ ইলিয়াসের ব্যক্তিগত গাড়ি গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তার বনানীর বাসার কাছে আমতলীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িতে পাওয়া একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় গাড়িটি ইলিয়াস আলীর। ওই সময় গাড়িচালক আনসারকেও পাওয়া যায়নি।
ইলিয়াসের ‘নিখোঁজের’ পরদিন (বুধবার) তাকে ফেরত চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন স্ত্রী তাহসীনা।
শনিবার তাকে উদ্ধারে গাজীপুরের পূবাইলে র্যাব-পুলিশের একটি যৌথ দল অভিযান চালালেও তাতে কোনো ফল হয়নি। ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসীনার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছিল র্যাব।
এরপর খালেদার গুলশান কার্যালয়ে রাত ১০টা থেকে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন তাহসীনা। তিনি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর খালেদাও তার বাসায় ফিরে যান।
এর পরই ইলিয়াস আলীর বনানীর ২/১ সড়কের ‘সিলেট হাউজ’-এর সামনে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক অবস্থান নেন বলে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় সেখান থেকে জানান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক।
‘ এজেন্সির লোক’ বনাম ‘নাটক’
ইলিয়াসের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
এ হরতালের আগের দিন রাজধানীতে অন্তত আটটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি গাড়ির চালক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
বিএনপি অবশ্য ইতিমধ্যে বলেছে, ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাওয়া গেলেই হরতাল প্রত্যাহার করা হবে।
আর না পাওয়া গেলে লাগাতার হরতালের হুমকিও দিয়েছে দলটি।
এ ‘নিখোঁজ’ ঘটনা নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে বাক্য বিনিময়ও চলে গত কয়েকদিন ধরে।
‘নিখোঁজের’ পরদিন (বুধবার) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের ‘এজেন্সি ও র্যাবের লোকজন’ ইলিয়াসকে তুলে নিয়ে গেছে।
তবে এ ঘটনাকে ‘নাটক’ হিসাবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপিই এ কাজ করেছে।
পূবাইলে নিষ্ফল অভিযান
পূবাইলে র্যাব-পুলিশের অভিযান প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান শনিবার রাত ৯টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি।”
তিন ঘণ্টার অভিযানে গাজীপুরের পূবাইলের চারটি বাড়িতে র্যাব-পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে জানান অভিজাত বাহিনীর মুখপাত্র এম সোহায়েল।
ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনাও তাদের সঙ্গে ছিলেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইনী শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শনিবার রাত ৮টার দিকে বলেন, “তাহসীনা রুশদীর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার বনানীর বাসায় ডেকে নিয়ে আমাদের জানান, ‘এক ব্যক্তি আমাদের জানিয়েছেন আমার স্বামীকে পূবাইলে আটকে রাখা হয়েছে’।”
এরপর র্যাব ও পুলিশের দল তাকে উদ্ধারে পূবাইলে অভিযানে যায়।
স্ত্রীর কথার সূত্র ধরে র্যাব এবং পুলিশের একটি যৌথ দল গাজীপুরের পূবাইলের বড়কয়ার এলাকায় একটি দোতলা বাড়িতে অভিযান চালায়।
যেভাবে নিখোঁজ
যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইলিয়াস ‘নিখোঁজ’, সেই বনানীর ২/১ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়িটি তার নিজের। ‘সিলেট হাউজ’ নামের এই বাড়িতে দুই মাস আগে পরিবার নিয়ে ওঠেন তিনি। থাকেন ছয় তলা ওই বাড়ির পঞ্চম তলায়।
‘নিখোঁজের’ পরদিন বনানী থানার উপপরিদর্শক ফায়েজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, রাত দেড়টার (বুধবার প্রথম প্রহর) দিকে আমতলী সংলগ্ন সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে একটি প্রাইভেটকার পড়ে থাকতে দেখে লোকজন ভিড় করে।
“পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দরজা খোলা অবস্থায় গাড়িটি দেখতে পায়। গাড়ির ভেতরে একটি মোবাইল ফোনও পাওয়া যায়। ওই ফোনের কললিস্ট ধরে বিভিন্ন নম্বরে ফোন করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি ইলিয়াস আলীর মোবাইল। আর গাড়িটি তার স্ত্রীর।”
পরে পুলিশ তাহসিনা রুশদীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন গাড়িটি তাদের এবং ইলিয়াস ঘণ্টা চারেক আগে ওই গাড়িতে করেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।
তাহসিনা পুলিশকে জানান, তার স্বামী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুজন লোকের সঙ্গে ওই গাড়িতে করে বনানীর বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শফিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বাসা থেকে দুজনকে সঙ্গী করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে ইলিয়াস বাড়ির নিচ তলায় তার কার্যালয়ে ৬/৭ জনের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। কথা শেষে সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি গাড়িতে উঠেন। অন্যরা দুটি মটর সাইকেলে করে সেখান থেকে চলে যান।
এদের মধ্যে ২/৩ জন ‘নতুন লোক’ ছিলেন বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক।
ইলিয়াসের নবনির্মিত এই বাড়ির ছয় তলায় শুধু একজন ভাড়াটিয়া উঠেছেন। বাকি তলাগুলো এখনো খালি বলে শফিক জানান।
ইলিয়াসের পরিচিতি ‘সহিংসতায়’
গত শতকের আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হয়ে সামরিক একনায়ক জেনারেল এইচ এম এরশাদের সমর্থক ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজে যোগ দেন ইলিয়াস।
১৯৮৬ সালের মে মাসে ২২ দলীয় ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে সাধারণ ছাত্রদের বাধার মুখে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছাড়েন তিনি ও তার সঙ্গীরা।
পরে বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সহিংস ঘটনায় জড়িয়ে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও সহিংসতার অভিযোগ আছে। সহিংস কর্মকাণ্ডের দায়ে তাকে ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ দুই নেতা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইলিয়াস ১৯৯১ সালে গ্রেপ্তারও হন। বিএনপির ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তিনি কারাদণ্ডও ভোগ করেন।
ইলিয়াস একবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন যে কমিটি তিন মাস পর বাতিল করা হয়। সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিতি পেলেও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রয়াত ক্ষমতাধর বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের মূলধারায় আলোচনায় আসেন তিনি।
সোমবারও হরতাল
| ||||
|
একই দাবিতে রোববার দিনব্যাপী হরতালের পর বিকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এই ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নিখোঁজ বিএনপি নেতার সন্ধানে লাগাতার হরতালের হুমকি দিয়ে আসা ফখরুল নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারকে আবার বলছি, ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালককে ফিরিয়ে দেন। নইলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।”
রোববার বিএনপির হরতালে বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি হলেও সিলেট ছাড়া কোথাও বড় ধরনের গোলযোগ হয়নি। ঢাকায় বিএনপি নেতারা নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছিল।
ফখরুল বলেন, রোববারের মতো সোমবারও সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
গত ১৭ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে নিখোঁজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী। তার বনানীর বাড়ির কাছে মহাখালীর একটি গলিতে তার গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিএনপি দাবি করছে, ইলিয়াসকে ‘গুম’ করেছে সরকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, বিএনপি নেতাকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে বিএনপি ‘নাটক’ করছে।
ফখরুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের লোকজনের কথাবার্তায় আমাদের বিশ্বাস জন্মেছে যে সরকারের এজেন্সিই ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন তারা তাকে ফেরত দেওয়ার বিষয় নিয়ে নানা রকম নাটক করছে।”
ইলিয়াসকে উদ্ধারে শনিবার রাতে গাজীপুরের পুবাইলে সন্দেহজনক কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব, তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
রোববার বিএনপির হরতাল সিলেট ছাড়া সারাদেশেই ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়। দূরপাল্লার বাস না চললেও ট্রেন, লঞ্চ ও বিমান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। ঢাকায় সড়কে প্রাইভেট গাড়ি ছাড়া সব ধরনের গাড়িই কম-বেশি চলেছে। কোথাও পিকেটিং দেখা যায়নি।
ঢাকায় সকাল থেকেই আটটি হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়েছে, এর অধিকাংশই ঘটেছে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে।
‘বোনের হাতে’ বোন খুন
| ||||
|
রোববার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের উদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোনাভান (৫০) উদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে। গ্রেপ্তার ছোটবোন হলেন শামসুন নাহার (৪৫)।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি ওহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে সোনাভান ও শামসুন নাহার তাদের কুঁড়ে ঘরে মাটি তোলা নিয়ে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে শামসুন নাহার হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে সোনাভানকে হত্যা করেন।
পরে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোনাভানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি ওহিদুল।
গাজীপুরে লেগুনা উল্টে ৬ পুলিশ আহত
| ||||
|
আহতরা হলেন জয়দেবপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুর রহমান, পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেন, মো. সুরুজ্জামান, মোবারক হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও বিজয় সূত্রধর।
আহতদের মধ্যে কনস্টেবল কবির হোসেন ও বিজয় সূত্রধর গাজীপুর সদর হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আহত এএসআই আমিনুর রহমান জানান, রোববার ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে ধীরাশ্রম রেলগেইট পর্যন্ত এলাকায় তাদের হরতালের ডিউটি ছিল।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লেগুনাযোগে ভোগড়া মোড় থেকে বাইপাস ধরে ধীরাশ্রমের দিকে কিছুদূর যাওয়ার পথে হঠাৎ করে বিকট শব্দে চলন্ত লেগুনার বাম দিকের পেছনের চাঁকা ফেঁটে যায়। এতে লেগুনাটি উল্টে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খায়।
জয়দেবপুর থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান দুপুরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন।
SONY5STR.BLOG SPOT.COM
হরতালে বিশ্বনাথে থানা ঘেরাও, সংঘর্ষ
| ||||
|
রোববার হরতালের সময় সিলেট মহানগরীতেও সংঘর্ষ হয়েছে। সিলেটে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৩ জনকে।
বিশ্বনাথে সংঘর্ষে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ইলিয়াসের গ্রাম রামাধানা গ্রামের বাসিন্দারাও জড়িয়ে পড়ে। সেখানে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, বিশ্বনাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৯ পুলিশসহ অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত এক পুলিশ কনস্টেবলকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটের আঘাতে আহত দুই ছাত্রদলকর্মীসহ অনেককে স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান বিশ্বনাথ থানার ওসি চাঁন মিয়া।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিলেট থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস মঙ্গলবার নিখোঁজ হওয়ার পর বৃহস্পতিবারও সিলেট বিভাগে হরতাল করে স্থানীয় বিএনপি।
রোববার বিক্ষোভের এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে কয়েকশ বিএনপি নেতা-কর্মী বিশ্বনাথ থানা ঘেরাও করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। নেতা-কর্মীরা ইট ছুড়লে পুলিশ রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বেলা আড়াইটার দিকে অলঙ্কারি ইউনিয়নের রামাধানা গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানার দিকে এগোতে থাকে। পুলিশ তাদের উপজেলা কমপ্লেক্সের কাছে আটকে দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
গ্রামাবাসী ও পুলিশের সংঘর্ষে বিশ্বনাথ উপজেলা সদর রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। ইটের জবাবে পুলিশ রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
ওসি চাঁন মিয়া জানান, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।”
সংঘর্ষে নয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এদের মধ্যে এক জনকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে বিএনপি নেতা-কর্মী ও গ্রামবাসী মিলেয়ে অর্ধশতের বেশি আহত হয়। এদের মধ্যে রবার বুলেটে আহত খানাঞ্চি ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক মরতুজ আলী (২৫) এবং ছাত্রদলকর্মী মিসির আলী (৩৫) সহ কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে জানান ওসি।
উপজেলা সদরে পিকেটাররা একটি সংবাদপত্রবাহী অটোরিকশা ও ওষুধের দোকান ভাংচুর করে। আগুন দেয় একটি খাবারের দোকানেও।
হরতালে সিলেট নগরীতে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ হলেও দুপুরের পর দুটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
সকালে কয়েক দফা মিছিলের পর বিএনপি নেতারা নগরীর জিন্দাবাজার সিটি সেন্টার এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম একটি মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
এসময় হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ২০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও ৩০-রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সংঘর্ষের সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট-পাটকেল ছোড়ে পিকেটাররা।
এছাড়া নগরীর টুকের বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এজাজ আহমেদ।
গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৪।
বিয়ানীবাজারে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বাকি সবাই সিলেট মহানগরীর।
বিশ্বনাথ ছাড়া বাকি ১১ উপজেলায় পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন।
হরতালে সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিছু রিকশা চলতে দেখা গেলেও ভারী যানবাহন চলেনি। সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাসও ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হরতালের কারণে অধিকাংশ এলাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকা। বেশিরভাগ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলা শহরের রিকশা চলাচল করলেও দূরপাল্লার যানবাহন চলছে না। শহরের বেশিরভাগ দোকানপাটই বন্ধ।
সকাল ৮টায় শহরের প্রধান সড়কের শায়েস্তানগর ঈদগাহ এলাকা থেকে পুলিশ ৪ পিকেটারকে আটক করে। তারা হলেন- আজিজুল ইসলাম (৩৫), সুমন মিয়া (৩০), জুয়েল মিয়া (২৮) ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ (৩০)।
শায়েস্তানগর, কোর্ট স্টেশন, বেবীস্ট্যান্ড, পৌর বাস টার্মিনাল, চৌধুরীবাজার খোয়াইমুখ পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির স্বল্প সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। তবে জোরালো পিকেটিং দেখা যায়নি।
বিএনপির সিলেট জেলার সভাপতি ইলিয়াসের সন্ধান দাবিতে এর আগে বৃহস্পতিবারও হরতাল হয় সিলেট বিভাগে।
রতালের শুরুতেই ককটেল বিস্ফোরণ
হরতালের শুরুতেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা এ হরতাল শুরুর পরপরই ভোর সাড়ে ছ’টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সুরঞ্জিতকে প্রধানমন্ত্রী: ‘পদত্যাগ করুন’
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল: টাকা নিয়ে এপিএস’র গভীর রাতে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। তিনি রোববার রাতে গণভবনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ডেকে পদত্যাগ করতে বলেন। এজন্য তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ২৪ ঘণ্টা সময়ও দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী এসময় রেলমন্ত্রীকে বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে আপনার সংশ্লিষ্টতা নেই প্রমাণ করুন অথবা পদত্যাগ করেন। এই ঘটনায় সরকার প্রশ্নের মুখে পড়ুক এটা আমরা চাই না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে পদত্যাগ করুন।
গণভবনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ডাকার আগে রেলমন্ত্রীকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে বলে বঙ্গভবনেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, রোবরার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তুরস্ক সফরের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এসময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিষয়টিও আলোচনা হয়।
বঙ্গভবনেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি রেলমন্ত্রীকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগে যাওয়ার জন্য বলা অথবা তাকে অপসারণের কথা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকেই তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে গণভবনে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত রাতে বারবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ফোন নম্বরে ফোন করা হয়। কিন্তু তার (সুরঞ্জিত) ফোন বন্ধ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কেউ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাথে কথা বলতে পারেননি। পরে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শেখর ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের এক নেতাকে রেলমন্ত্রীর বাড়িতে পাঠিয়ে বলেন, দাদা (সুরঞ্জিত) যেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্রুত ফোন করেন।
এ সংবাদ দেয়ার পর রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফোন করেন। সেখান থেকে তাকে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যেতে বলা হয়। রাত ৯টার কিছু আগে তিনি গণভবনে প্রবেশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত গণভবনে গেলেও এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ছিলেন না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শেখরের অফিস কক্ষে বসে থাকেন। সোয়া ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাথে একান্তে কথা বলেন।
প্রায় ২৫ মিনিট প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে বের হওয়ার সময় রেলমন্ত্রীকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
গণভবন থেকে বের হওয়ার আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তার সহকর্মীদের জানিয়ে দেন তিনি গণমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলবেন না। গণভবন থেকে বেরিয়ে তিনি সরাসরি জিগাতলার বাসায় চলে যান।
রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে রেলমন্ত্রী বাসা থেকে জানানো হয়, রেলভবনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিস্তারিত জানাবেন।
গত সোমবার রাতে ৯ এপ্রিল রাতে সুরঞ্জিতের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকাসহ ধরা পড়ার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে রেলমন্ত্রীকে নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে বিরোধীদল ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনের এই ঘটনা জানার পর খুবই মর্মাহত হয়েছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কারণে সরকারের ইমেজ নষ্ট হওয়ায় তিনি ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথাও বলছেন না।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুরঞ্জিতের পদত্যাগ দাবি বিএনপির
ঢাকা, ১৫ এপ্রিল: রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিএনপি’র সংসদীয় দল। রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এমপি বলেন, “রেলমন্ত্রীর ঘুষ কেলেঙ্কারিতে সারাদেশ স্তম্ভিত ও লজ্জিত।” এই ঘটনায় জাতীয় সংসদের সব সদস্য ও রাজনীতিবিদদের মান মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, “রেলমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই অবিলম্বে তার পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শাস্তি ব্যবস্থা করবে।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশে এসেছেন। আমরা দেখতে চাই তিনি কী করেন। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে আবারো সংবাদ সম্মেলন করবো।”
মওদুদ বলেন, “স্পটে থাকা তিনজনই বলেছেন তারা টাকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। আমরা এটাও জানি যে, রেলমন্ত্রীর বাসা জিগাতলায়।”
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, “এই সরকার আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ফলে তারা দেশ চালাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্য, আইন-শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার কোনোটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কথা দেশ ছেড়ে বিদেশেও ছড়িয়ে গেছে। আমরা আগে থেকেই বলে এসেছিলাম সরকারের দুর্নীতির কথা। এবার তারা হাতে-নাতে ধরা পড়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ জানান, সংসদের আগামী অধিবেশনে যোগ দিয়ে এ বিষয়ে তারা কথা বলবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল খায়ের ভূইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা, নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহেনা আখতার রানু, মোজাহার আলী প্রধান উপস্থিত ছিলেন
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কি পদত্যাগ করছেন?
প্রধানমন্ত্রী গতকাল তুরস্ক থেকে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ফেরার সময় বিমানবন্দরে না থাকার পর শেখ হাসিনার নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে।তিন দিনের তুরস্ক সফরের পর শনিবার সকালে ঢাকা পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথা অনুযায়ী বিমানবন্দরে তখন ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের বিমানবন্দরে দেখা গেলেও দেখা যায়নি রেলমন্ত্রীকে।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ এর মনে এখন প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করছেন?
সবার দৃষ্টি এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। প্রধানমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত নিবেন?
রেলভবনে সাংবাদিকদের ভিড়
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল: রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রেস কনফারেন্স উপলক্ষে রেলভবনে ভীড় জমিয়েছেন সাংবাদিকরা।সোমবার বেলা ১২টায় মন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা থাকলেও ১১টার পর থেকেই উপস্থিত হতে শুরু করেন সাংবাদিকরা।
বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত হন রেলভবনে। তাদের মধ্যে রয়েছেন টিভি চ্যানেল, দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা।
প্রোগ্রামটি লাইভ কভার করতে একাধিক টিভি চ্যানেলের কর্মীরা সব কারিগরি সরঞ্জামসহ উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়া যারা লাইভ করার প্রস্তুতি নিয়ে আসেননি তাদেরও অফিসে যোগাযোগ করতে দেখা গেছে।
ব্যক্তিগত এপিএস ফারুকের গাড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের জের ধরে গত কয়েকদিন বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন রেলমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ধারণা করছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন।
রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাংবাদিকরা মন্ত্রীর ব্রিফিং শুনতে অপেক্ষা করছেন।
অনেক সংবাদ সৃষ্টি করেছি আজ নিজেই শিরোনাম হলাম’
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আমার হৃদ্যতা ছিল। কখনও নিজেই সংবাদ সৃষ্টি করে সহযোগিতা করেছি। কখনও কখনও নিজেই সংবাদের শিরোনাম হয়েছি। আজ আবারও শিরোনাম হয়ে আপনাদের সহযোগিতা করলাম।রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, রেলের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারি সৎ এবং নিরলস পরিশ্রম করেন। কতিপয় লোকের জন্য মন্ত্রণালয়ের বদনাম করা ঠিক নয়। তদন্তের অব্যাহত অগ্রগতির স্বার্থে যেমন রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তেমনি তদন্তের স্বার্থে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলবো না।
ঘটনার সঙ্গে তার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটাবে তা আমি চাই না। আশা করি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উৎঘাটিত হবে। সত্য উৎঘাটিত হলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে রাজনীতিতে আবারও সোচ্চার হতে পারবো। তিনি বলেন, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও বিরোধী দলের পক্ষ এই ঘটনার পর মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকা সমীচীন নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আমি তাদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য শেষে বলেন, আজকে আমি কোন প্রশ্ন নেবো না কোন প্রশ্নের উত্তরও দেবো না। আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতাই আমি কামনা করি। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, শৈশব থেকেই চ্যালেঞ্জ সৃষ্টির রাজনীতি করে আসছি। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নতুন মাত্রা যোগ করতে আমি অনেক নি:সঙ্গ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকে একটি সঙ্কটময় রাজনীতির মুহুর্তে আমি একটি দ্বন্ধের মুখোমুখি। আমার সামনে কঠিন পথ। যেনতেন প্রকার সকল আলোচনা সমালোচনাকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আকড়ে থাকা অথবা দল, সরকার এবং সরকার প্রধানের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করার চ্যালেঞ্জ,নেয়া। দেশের প্রচলিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সুযোগ সবার জীবনে আসে না। সুযোগের সৎব্যবহার করে ইতিহাস সৃষ্টি করার দুঃসাহস অনেকে দেখায় না। আমি ভেবে চিন্তে দ্বিতীয় পথ বেছে নেয়াকে সমীচীন মনে করেছি। আমি উচ্চ কণ্ঠে বলতে চাই দল, সরকার এবং দলের নেত্রীর আমি বোঝা হতে চাই না। আমি তাদের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হোক সেটাই চাই। সংবাদ সম্মেলনে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফজলে কবির ও রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
‘সমুদ্র জয়’ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে মঙ্গল শোভাযাত্রা
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল: শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস রঙ্গিন সাজে সেজে। সব বয়সের মানুষ ক্যাম্পাসে এসে ভিড় করে। সকাল ৯টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে রূপসী বাংলা হোটেলের দিয়ে ঘুরে টিএসটি হয়ে আবার চারুকলায় শেষ হয়। প্রতিবছরের মতো এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার সমন্বয়ের কাজ করেছে চারুকলার ১১তম ব্যাচের এমএসএর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশের সব শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী এর জন্য কাজ করেছেন।
শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান চান ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক মো. মতলব আলী উপস্থি ছিলেন।
বর্ণিল পোশাকে ও বাহারি রঙের মুখোশ-ফানুসে সজ্জিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে। এছাড়া বিদেশী নাগরিকদেরও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা যায়।
মঙ্গল শোভাযাত্রার সমুদ্র জয়ের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তোলা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীক হিসেবে কালো রঙের ভয়ঙ্কর কিছু ফিগার (মুর্তি) তৈরি করা হয়েছে, যা দেখে সাধারণ মানুষ ভয় পাবে এবং যুদ্ধারাপরাধীদের ঘৃণা সৃষ্টি করবে। ভয়ঙ্কর এই মানুষগুলোকে ঘৃণা দেখানোর জন্যই এই ফিগারগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া বাঘ, পেঁচা, খরগোশের মুখোশ এবং পেপার ম্যাসেজ হিসেবে রঙিন কাগজে মানুষের জন্য কিছু মেসেজ (বার্তা) থাকবে।
চারুকলা অনুষদের ডিন এমদাদুল হক মো. মতলুব আলী বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান হলো বাংলা নববর্ষ। আর নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। আমাদের শিক্ষার্থীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে শোভাযাত্রাটি সফল করেছে। এবারের শোভাযাত্রায় সমুদ্রজয় ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জন্য বিভিন্ন প্রতিকৃতি বহন করা হয়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ আলী বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “এবারের শোভাযাত্রা গতবারের চেয়ে ভালো হয়েছে। শোভাযাত্রায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।”
এক কেজি ওজনের একজোড়া ইলিশ ২০ হাজার টাকা!
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল: এক কেজি ওজনের একজোড়া ইলিশ। দাম শুরু ২০ হাজার টাকা থেকে। কষ্টকল্পনা নয়, বাস্তব। পয়লা বৈশাখের আগে এমনই আগুন লেগেছে দেশের ইলিশ বাজারে। রুপালি ফসল বিকোচ্ছে প্রায় রুপারই দামে।পয়লা বৈশাখ, অন্যতম বড় উত্সব। আর বাঙালির বর্ষবরণে লাগবেই ইলিশ। নতুন বছর আসে ইলিশের গন্ধে। ঘরে ঘরে তৈরি হয় ইলিশের নানা পদ। মেলায়, উত্সবে, অনুষ্ঠানেও ভোজ্যের তালিকায় সেই ইলিশ।
রুপালি শস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বাধ সেধেছে বর্ষবরণের আনন্দে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের সব বাজারেই লেগেছে আগুন। বছরের প্রথম দিনটা মাছেভাতে কাটাতে পকেটে এবার ভালোই টান পড়ল। বর্ষায় যোগান বাড়লে ইলিশের এই দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা
আয়া যখন চিকিৎসক
নূরুজ্জামান: কেউ আয়া থেকে ক্লিনিকের প্রধান চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ক্লিনিক ও চেম্বারের ফাঁদ পেতে জিম্মি করছে অসহায় রোগীদের। আবার লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রোগ পরীক্ষার নামে। রাজধানীতে সক্রিয় এমন সহস্রাধিক ভুয়া চিকিৎসকের তালিকা এখন র্যাবের হাতে। গতকাল থেকে এ তালিকা ধরে রাজধানী জুড়ে র্যাবের ১০টি টিম ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরা এলাকা থেকে হাতেনাতে ৮ ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- আনোয়ারুল হক দুলাল, আতিয়ার রহমান, হাসিনা বেগম, মহিউদ্দীন, ফাতেমা সাখাওয়াত, আল আমীন ও এম কাওসার। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত কাওসার জানান, আগে তিনি একজন চিকিৎসকের সহকারী ছিলেন। তার সঙ্গে থাকতে থাকতেই দাঁতের সব রকমের চিকিৎসা রপ্ত করেছেন। আল আমীন জানান, তিনি এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। পরে কিছুদিন ওষুধ বিক্রি করেছেন। এরপরেই নিজেকে ডেন্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছেন। র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ইরতিজা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ারুল হক দুলাল একজন নীরব ঘাতক। চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। তিনি পড়াশোনা করেছেন আয়ুর্বেদিক বিষয়ে, অথচ চিকিৎসা করছিলেন এলোপ্যাথিক পদ্ধতিতে। এলোপ্যাথিক বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রি না থাকলেও জটিল ও কঠিন রোগের প্রেসক্রিপশন দিচ্ছিলেন। এ অপরাধে তাকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মিরপুর ১ নম্বর ক্যাপিটাল মার্কেটের পাশেই মেডিসোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য রোগীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আছে। তার কাছে বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশনও ছিল না। র্যাবের এ অভিযানে বিএমডিসি’র কর্তাব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। তিন জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাবের তিনটি পৃথক দল একযোগে মিরপুর ও উত্তরা এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল বলেন, রাজধানীর অলিগলিতে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন ক্লিনিকে অসংখ্য ভুয়া চিকিৎসকদের তথ্য আমাদের কাছে আছে। পর্যায়ক্রমে সব এলাকাতেই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত বৈধ সনদপত্র না থাকলেও ভুয়া চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগের স্পেশালিস্ট হিসেবে অসহায় রোগীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করছে। এরা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চেম্বার খুলে রোগীদের বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত হাসিনা আগে আয়াগিরি করতো। এখন নিজের নামেই ক্লিনিক দিয়েছে। ওই ক্লিনিকের প্রধান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখছেন। অথচ তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। এ অপরাধে হাসিনা বেগমকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আতিয়ারকে দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা, মহিউদ্দিনকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, ফাতেমাকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, আল আমীনকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, কাওসারকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং আনোয়ার হোসেনকে দেড় বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকে নিজেদের এমবিবিএস পরিচয় দিয়ে রোগী দেখতেন। তবে অভিযানের সময় তারা প্রয়োজনীয় সনদ কিংবা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এদের মধ্যে কেউ এসএসসি এবং কেউ এইচএসসি পাস। এদের মধ্যে দুই জন কবিরাজও আছেন। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, জনস্বার্থে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিয়মিত ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। বিভিন্ন সময়ে খাদ্যদ্রব্যে ভেজালবিরোধী, পরিবেশ দূষণমুক্ত, ভেজাল পণ্য আটক, নকল ওষুধ প্রতিরোধ, অবৈধ ব্লাড ব্যাংক বন্ধ এবং ভুয়া ডাক্তার আটক সংক্রান্ত ৯৬৮৫টি সফল অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬৪৬ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৪৪ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৭,২২৩টি। কমান্ডার এম সোহায়েল আরও বলেন, জনগণের সুস্বাস্থ্য/সুচিকিৎসার অধিকার রক্ষায় যথাযথ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে র্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬১ জন ভুয়া ডাক্তার আটকসহ বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ ব্লাড ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল র্যাবের ৭টি টিম ও ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত দিনভর রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় ক্লিনিক, ল্যাব এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে ৭ জন ভুয়া বিশেষজ্ঞ/এমবিবিএস ডাক্তারকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সমস্ত অভিযানে বিএমডিসি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আটককৃত ভুয়া ডাক্তার/বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আতিয়ার (৩৩)’র বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার শংকরপাশা গ্রামে। উত্তর খান মাজার কলেজ সংলগ্ন তালতলা এলাকার ৭১৮ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। হাসিনা বেগমের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার সাদ্দারকান্দি গ্রামে। বর্তমানে মাজার চৌরাস্তার হাসিনা মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসএম মহিউদ্দিন (২২)-এর বাবার নাম মৃত কাওসার আলী। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার শেখটোলা গ্রামে। ফাতেমা সাখাওয়াত হোসেন (৩০)। তার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের তালেপুর গ্রামে। বর্তমানে দক্ষিণখান বাজারের আরমান ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। দক্ষিণ খান বাজারের হক সুপার মার্কেটের সিটি ডেন্টাল ক্লিনিকে চিকিৎসক ছিলেন। তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দ?িণ খানের হক সুপার মার্কেটের সেবা ডেন্টাল কেয়ার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এম কাওসার আহমেদ নামে এক কবিরাজকে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন বৈধ সনদপত্র না থাকলেও তিনি সব রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগী দেখছিলেন। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার লুচনপুর গ্রামে।খেলাধুলা
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নামছেন শচিন আজ
মুম্বাই, ১৬ এপ্রিল: অবশেষে আজ সোমবার আইপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মাঠে নামতে পারেন শচিন টেন্ডুলকার।আঙুলের চোট সারিয়ে ইতিমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন শচিন টেন্ডুলকার। শুক্রবার তিনি জিমে যান। এরপর শনিবার ফিজিক্যাল ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে বল ছোঁড়া অনুশীলন করেন।
ফিজিক্যাল ট্রেনার জানিয়েছেন প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট শচিন এই অনুশীলন করেন। বল ছোঁড়ার ক্ষেত্রে শচিনের কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
রোববার থেকে শচিন নেট প্র্যাকটিস করেন। বোর্ডের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে শচিন আঙুলে চোট পান। তার আঙুলে রক্ত জমে গিয়েছিল। এই চোটের জন্য শচিন দশদিন মাঠের বাইরে ছিলেন।
হতাশ পিসিবি’র বৈঠক রোববার
লাহোর, ২১ এপ্রিল: পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফরটা ছিল বহুল প্রত্যাশিত। কিন্তু আদালতের রায়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে পাকিস্তানের। সফরে যাচ্ছে না বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য তাই আজ রোববার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে।এই বৈঠক ডাকার পেছনে আরো একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রপত্রিকার ভূমিকাকেও সফর বাতিলের ক্ষেত্রে কারণ হিসাবে মনে করছে পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে যে, দেশটির নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ কয়েকটি পত্রিকার অতিরঞ্জিত রিপোর্টিই কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনে পাকিসত্মানী কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত খবর এবং আর্টিকেলের ক্লিপিংস দাখিল করা হয় বলে পিসিবি জানতে পেরেছে। পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের সফরের ক্ষেত্রে এটাই মূল প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়ায়।
সূত্রটি জানিয়েছেন, এসব খবরের কাটিং দাখিল করে রিট আবেদনকারী বোঝাতে চেয়েছেন যে, পাকিস্তানের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো নয়। যে কারণে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়া ঠিক হবে না। এই মুহূর্তে নেতিবাচক খবর প্রকাশ না করে মিডিয়ার উচিত হবে ইতিবাচক খবর প্রকাশ করা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, পাকিস্তানের বেশ কয়েকাটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে, হাইকোর্টে ওই রিট আবেদনের পেছনে বাংলাদেশের অন্তত দু’জন সিনিয়র ক্রিকেটার নেপথ্যে কাজ করেছেন।
রিট আবেদনের প্রেক্ষিতেই পাকিস্তান সফরের ওপর চার সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারী করে বাংলাদেশের হাইকোর্ট।
পিসিবির চীফ অপারেটিং অফিসার সুবহান আহমেদ বলেছেন, এই মুহূর্তে আমাদের অবশ্যই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে হবে। বাংলাদেশের সফরের বিষয়ে আমরা সকল প্রস্ত্ততি সম্পন্ন করেছিলাম। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে বিকল্প কোনোকিছুই নেই।
তিনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহে কি ঘটে আমরা সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য আমাদের জানিয়েছে যে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তারা দল পাঠাতে পারবেনা। এই সময়টা পার হলে আমাদেরকেই শ্রীলংকা সফরে যেতে হবে।
সুবহান আহমেদ বাংলাদেশের পরিবর্তে অন্য কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয় নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, আমাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। পিসিবি বিশ্বাস করেছিল যে, বাংলাদেশ দল সফরে আসছে।
সফর বাতিল হয়ে যাওয়ার পেছনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কোনো কলকাঠি নেড়েছে কিনা এই প্রশ্নের জবাব সরাসরি না দিয়ে সুবহান আহমেদ বলেছেন যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে পিসিবি বিষয়টা নিয়ে সরাসরি কথা বলেছে। এবং পিসিবি বিশ্বাস করেছিল যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সফরে আসছে
টেস্টে এখনো সেরা অলরাউন্ডার সাকিব
দুবাই, ২১ এপ্রিল: সেরা টেস্ট অলরাউন্ডারের স্থানটা ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আইসিসি’র সর্বশেষ র্যাংকিং অনুযায়ী টেস্টে অলরাউন্ডার হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস। একধাপ নিচে নেমে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন। তার অবস্থান পঞ্চম।তবে সবচেয়ে খারাপ খবর ভারতের জন্য। র্যাংকিংয়ের সেরা দশের কোনো ক্যাটাগরিতেই ভারতের কোনো ক্রিকেটার নেই।
ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে শচিন টেন্ডুলকার এবং বোলারদের র্যাংকিংয়ে জহির খানের অবস্থান দ্বাদশ।
টেস্ট বোলারদের র্যাংকিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন আছেন এক নম্বরে। তারপরে আছেন পাকিস্তানের স্পিনার সাঈদ আজমল। ইংল্যান্ডের জেমস প্যাটিনসনের অবস্থান তৃতীয়।
টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রোটিয়াস ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্যালিস আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
বেবি সিটার শাহরুখ
মুম্বাই, ৫ এপ্রিল: চেন্নাইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন না, তাই বলে যে আইপিএল’র চিন্তা তার মাথায় ছিল না তা কিন্তু নয়। যে সময় চেন্নাইয়ে কেটি পেরি ‘ফায়ারওয়ার্কস’, কারিনার ‘ছাম্মাক ছাল্লো’ আর অমিতাভ কবিতা দিয়ে সবাইকে মাতাচ্ছিল, সে সময় শাহরুখ পালন করছিলেন একজন দায়িত্বশীল বাবার ভূমিকা। যে তার সন্তানদের নিয়ে ইডেন গার্ডেনে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।আর পাঁচজন অভিভাবকের মতোই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দেখাচ্ছিল তার চোখমুখ। সন্তানদের ব্যাগ ঘোছাতে সাহায্য করছিলেন তিনি সে সময়। এর আগে নিজে স্কুলে গিয়ে মেয়ের স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালের কাছ থেকে ছুটির দরখাস্তে সই করিয়ে আনেন।
মঞ্জুর হবে তো এক দিনের ছুটি? নাকি নাকচ হয়ে যাবে? আবেদন নাকচ হলে, মেয়েকে ছাড়া কিভাবে যাবেন কলকাতায়? কিভাবে নাইটদের উৎসাহ যোগাবেন? এমন নানান দুশ্চিন্তায় কেটেছিল শাহরুখ দিনটি। কিন্তু সবশেষে ছুটি পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন শাহরুখ।
বৃহস্পতিবার মেয়েসহ আরো নয়জন বাচ্চাকে নিয়ে তিনি ইডেন গার্ডেনে কেকেআরের ম্যাচ দেখতে এখন কলকাতায়। স্ত্রী গৌরি ইতালিতে। তাই তিনিই পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের নয়জন বাচ্চাদের কাল স্বঘোষিত ‘বেবি সিটার’।
বুধবার রাতে ‘মান্নাত’-এ নিজের লাইব্রেরিতে বসেই মেয়ের সঙ্গে শেষ সময়ের প্রস্তুতিগুলো নেন শাহরুখ। আর সকালেই মুম্বাই থেকে কলকাতার উদ্দেশে ‘বেবি সিটার’ শাহরুখ নয় বাচ্চাকে নিয়ে উড়াল দেন নাইট যাত্রায়। সেখানে এই নয় বাচ্চার ‘বেবি-সিটার’ হয়ে দুই দিন কাটাতে হবে শাহরুখকে। দেখা যাক, সফল অভিনেতা শাহরুখ, ‘বেবি সিটার’ হিসেবে কতোটা সফল হতে পারেন।
দুরন্ত রাজশাহীর অনুপ্রেরণা উৎসব! (video)
স্পোর্টস রিপোর্টার
আজ পর্দা উঠছে বাংলাদেশের মিলিয়ন ডলার ক্রিকেট বাণিজ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) প্রথম আসরের। এই মহাযজ্ঞের পর্দা ওঠার অপেক্ষায় ক্রিকেট-পাগল বাংলাদেশ। ব্যাট-বলের লড়াই শুরুর আগেই, দুরন্ত রাজশাহীর প্রতি সমর্থন জোগাতে ভিন্ন রকম এক উৎসবের আয়োজন করে ডিজিটাল অটোকেয়ার মালিকানাধীন ফ্রাঞ্চাইচিটি। মুশফিক-জুনায়েদ-সামি-আব্দুল রাজ্জাকদের মাঠের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা দিতে এ আয়োজনের নাম ‘অনুপ্রেরণা উৎসব’। উত্তরবঙ্গের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দুরন্ত রাজশাহীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
মুশফিক-জুনায়েদদের সমর্থন জানাতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, বিপিএল দিয়ে আমরা আবার প্রমাণ করতে চাই, খেলাধুলা থেকে শুরু করে কোনো দিক দিয়ে উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে নেই। আমার বিশ্বাস মাঠের ক্রিকেটে আমাদের ক্রিকেটাররা আমাদের আস্থার প্রতিদান দেবেন। দুরন্ত রাজশাহীর চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান মোহন বলেছেন, দুরন্ত রাজশাহী পুরো উত্তরবঙ্গের দল, তাই সর্বস্তরের মানুষ এ দলকে সমর্থন করবে এটাই আমার বিশ্বাস। আপনাদের সবার এই উপস্থিতি আমাদের ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করবে।
অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে নিজ দলের ক্রিকেটারদের পরিচয় করিয়ে দেন দুরন্ত রাজশাহীর আইকন ক্রিকেটার ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার, রবার্ট উইনিংটন গিবসন। তিনি বলেছেন, গত বছরই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সফল আয়োজন করে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। টোয়েন্টি২০ ক্রিকেট এখন সময়ের দাবি। ঘরোয়া পর্যায়ে বিপিএলের মতো আসর এ দেশের ক্রিকেটকে আরো এগিয়ে দেবে। ‘অনুপ্রেরণা উৎসব’-এর মাধ্যমে দুরন্ত রাজশাহীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। জনপ্রিয় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ছাড়াও রাজশাহী দলের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবেন কণ্ঠশিল্পী কুনাল, লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার রাখি, ভিট-চ্যানেল আই সেরা মডেল হাসিন, ক্ষুদে গানরাজ জুয়েল রানাসহ আরো অনেকে।
কোর্ট অর্ডার পায়নি বিসিবি
ঢাকা, ২১ এপ্রিল: ‘পাকিস্তান সফর’ ইস্যুতে হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ ঘোষনা করেছেন বৃহস্পতিবার দুপুরে। হাইকোর্ট বিসিবির কাছে ‘কেন এই সফর বাতিল হবে না’ কারণ দর্শানোসহ জবাব চেয়েছেন। বিসিবি কি জবাব দেবে সেটা বিসিবির অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিসিবিকে যে জবাব দিতে হবে তার কোর্ট অর্ডারের কপি তো আগে হাতে পেতে হবে? কোর্ট অর্ডারের কপি এখনো বিসিবি পায়নি- এমনটাই বলেছেন বিসিবি ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামউদ্দিন সুজন।কোর্ট অর্ডার হাতে না পেলেও বৃহস্পতিবার যে ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট তাতে তো স্পষ্ট কি জবাব দেবে বিসিবি? এ নিয়ে কি বিসিবি নিজস্ব আইন উপদেষ্টা মেহেদী চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেছে? জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সিইও বলেন, হ্যাঁ তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোর্ট অর্ডার এখনো আমাদের হাতে পৌছেনি। তাই জবাব তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিসিবিতে এই ইস্যুতে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা? আজ দুপুরে তো হঠাৎ করেই বিসিবি সভাপতি মিরপুরে উপস্থিত! তাহলে কি পাকিস্তান ইস্যুতে গোপন আলোচনা হচ্ছে? নিজামউদ্দিন সুজন বলেন, ‘বিসিবি সভাপতি এসেছেন এটা সত্যি। তবে কোনো বৈঠকের কথা আমার জানা নেই। কাল রোববার আমরা কোর্ট অর্ডার হাতে হাতে পাবার চেষ্টা করব। এর পরই সিদ্ধান্ত।’
ওদিকে বিসিবি সভাপতি আর পরিচালকদের মধ্যে গোপনে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিসিবি সভাপতি ও পরিচালকরা। হাইকোর্টে যে জবাব দেয়া হবে সেই জবাব নিয়েও বোর্ড পরিচালকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। এমন তথ্য একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
সূত্রটি আরও জানায়, বিসিবি সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল সরকারের শীর্ষ মহলে পাকিস্তান সফর নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সরকার মহলে কামালের বিপক্ষে গ্রুপটি শক্তিশালী অবস্থান নেয়াতে বিসিবি এখনো কোনো ইতিবাচক পথ খুঁজে পায়নি। বিসিবি যদি সরকারের শীর্ষমহলে বোঝাতে সক্ষম হয় তাহলে হাইকোর্টের ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান সফর আগামী মাসে নতুন সিডিউলে অনুষ্ঠিত হলেও হতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা কম বলেই জানিয়েছে সূত্রটি।
সাকিবের নেতৃত্বে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের র্যালি
স্পোর্টস রিপোর্টার: বিপিলের প্রথম দল হিসেবে রাজধানী ঢাকায় গতকাল র্যালি করেছে শিরোপা প্রত্যাশী খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। স্বতঃস্ফূর্ত এ র্যালির নেতৃত্ব দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অন্যান্যের মধ্যে এতে অংশ নেন দলটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী মুসা ইব্রাহীম, তারকা ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক, নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দলটির অগণিত সমর্থক র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থেকে শুরু হয় র্যালি। খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের থিম সংও উদ্বোধন করা হয় এ সময়। গানটি গেয়েছেন ও সুর করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। থিম সংয়ের সুরে সুরে র্যালিটি শাহবাগ, ধানমন্ডি, বিজয় সরণি, মহাখালী, গুলশান, বারিধারা হয়ে বনানীতে এসে শেষ হয়।
তামিমের সম্ভাবনা কমলো আরও
চার ম্যাচ হয়ে গেলেও এখনও পুনে ওয়ারিয়র্স দলে দেখা যায়নি বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালকে। ওয়ারিয়র্সের কিউই তারকা জেসি রাইডারের ফর্মে ফেরায় এ সম্ভাবনা আরও কমলো তামিমের। শনিবার আইপিএলে ওয়ারিয়র্সরা ৭ উইকেটে হারায় টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে। রাইডার এ ম্যাচে করেন ম্যাচজয়ী হার না মানা ৭৩ রান। অসি তারকা স্টিভ স্মিথ ২২ বলে ৪৪ রান তুলে পুনের জয় সহজ করেন। টস জিতে ব্যাটিংয়ে গিয়ে এম এস ধোনির চেন্নাই আগে সংগ্রহ করে ১৫৫ রান। ৪ বল বাকি রেখে তা টপকে যা গাঙ্গুলির ওয়ারিয়র্সরা। এবারের আইপিএলে তামিমের যোগদানে পুনের শক্তিমত্তা বেড়েছে, বোদ্ধারা এমনটি মনে করলেও তারকা বহুল পুনের একাদশে জায়গা পেতে বাংলাদেশ াপেনারের অপেক্ষা আরও বাড়ছে আপাততনাটকীয় ম্যাচে পাঞ্জাব ২ রানে জয়ী
কলকাতা, ১৫ এপ্রিল: কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ২ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথমে ব্যাট করে ১৩৪ রান করেও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব। কলকাতা এদিন ১৩৫ রানের সাধারণ মানের টার্গেটও টপকাতে ব্যর্থ হয়। পাঞ্জাবের দুই বোলার পিযুস চাওলা এবং রজত ভাটিয়ার বোলিং নৈপুণ্যে ১৩২ রানের বেশি এগুতে পারেনি নাইট রাইডার্সের ইনিংস। ফলে ২ রানে হেরে যায় নাইট রাইডার্স।৪ খেলায় প্রথম দুটিতে হারের পর শেষ দুটি ম্যাচে জয়ী হওয়ায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পয়েন্ট ৪। অপরদিকে ৫ খেলায় কলকাতার নাইট রাইডার্সের পয়েন্টও ৪।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন পড়ে ৯ রানের। কিন্তু হারমিত সিংয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে শেষ ওভারে ৬ রানের বেশি করতে পারেনি কলকাতা।
শেষদিকে দেবব্রত দাস ২৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্য ৩৫ রানে অপরাজিত থাকলেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি।
এদিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। বল হাতে এক উইকেট নেয়ার পর উইলো হাতে মাত্র ৪ রান করেন সাকিব।
এরপর নাইট রাইডার্সের ইনিংসে আঘাত হানেন পিযুস চাওলা। ৭৯ রানের মাথায় উইকেটরক্ষক বিসলা এবং একই রানের মাথায় ইউসুফ পাঠানকে শূন্য রানে সরাসরি বোল্ড করে দেন পিযুস চাওলা।
১৩ রানে ক্যালিস এবং ৩০ রানে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে উইকেটরক্ষক বিসলা এবং মনোজ তিওয়ারি ৪৩ রানের পার্টনারশীপ গড়েন। তিওয়ারি ২০ রান করেন।
ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পান পাঁচ উইকেট নেয়া কলকাতার নাইট রাইডার্সের ডানহাতি স্পিনার সুনিল ন্যারিন।
এর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাঞ্জাবকে ১৩৪ রানের বেশি এগুতে দেয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলাররা।
নাইট রাইডার্সের ডানহাতি অফব্র্যাক বোলার সুনিল ন্যারিন একাই পাঞ্জাবের পাঁচ উইকেট নিজের ঝুলিতে নেন। ন্যারিন চার ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান খরচায় পাঞ্জাবের পাঁচ উইকেটের পতন ঘটান।
রজত ভাটিয়া দুটি এবং সাকিব আল হাসান নেন একটি উইকেট।
সুনিল ন্যারিনের বোলিং তাণ্ডবে মানদীপ সিং এবং ডেভিড হাসি ছাড়া পাঞ্জাবের আর কোনো ব্যাটসম্যান তেমন রানের দেখা পাননি। মাসকারেনহাস এবং প্রভিন কুমার কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন।
সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে মানদীপ সিং-এর ব্যাট থেকে ৩৪ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে রান আউটের শিকার হন অসি ক্রিকেটার ডেভিড হাসি। ৩১ বল মোকাবেলায় ১টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার মার রয়েছে তার ইনিংসে।
শেষদিকে পিযুস চাওলা ৮ বলে ১৩ এবং রজত ভাটিয়া ২ বলে ৬ রান করলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয় পাঞ্জাব।
বিনোদন
সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইশা
কাটরিনা কাইফ অনেক ভাল একজন ড্যান্সার। তবে অগ্নিপথ ছবির চিকনি চামেলি গানটিতে তেমন একটা ভাল পারফর্ম তিনি করতে পারেননি। একদমই সাদামাটা পারফর্ম করেছেন । এর চেয়ে আমি অনেক বেশি ভাল নাচতে পারি। এমন কথাই সমপ্রতি মিডিয়াকে বলে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন খাল্লাস খ্যাত আইটেম গার্ল ইশা কোপিকার। সম্প্রতি ইশা ভারতের নাস্তিক ফেস্টিভালে মারাঠি ছবির সুপারহিট গান কমডি পালালি-তে লাইভ পারফর্ম করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেন। সেখানে চারদিকে শুধু ইশারই প্রশংসা উচ্চারিত হচ্ছিল। গানটিতে চিকনি চামেলির কিছু স্টেপও করেছেন ইশা। অনেকেই বলেছেন, ইশার এ নাচ কাটরিনার চেয়ে ভাল হয়েছে। আর এসব মন্তব্যের বিপরীতেই যেন আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ইশা। কাটরিনা কাইফের সমালোচনা শুরু করে দেন তিনি। বিশেষ করে যখন মিডিয়াগুলো তার কাছে আসে তখনই নিজের প্রশংসা করে কাটরিনাকে নিচে নামানেরা চেষ্টা করেন তিনি। ইশা তার বক্তব্যে কাটরিনার সমালোচনা করে আরও বলেন, শিলা কি জাওয়ানিতে কাটরিনা মোটামুটি ভাল পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু সেই তুলনায় কিছুই হয়নি চিকনি চামেলি। কাটরিনাকে একদমই প্রাণবন্ত মনে হয়নি গানটিতে। গানটির বিশাল আয়োজন থাকা সত্ত্বেও কেমন জানি খালি খালি মনে হয়েছে। তার চেয়ে আমি আজ যে পারফর্ম করলাম সেটা অনেক বেশি ভাল হয়েছে চিকনি চামেলির চেয়ে। আগত দর্শকরাও সেটাই বলেছেন। নিঃসন্দেহে কাটরিনা অনেক ভাল মানের পারফর্মার, কিন্তু আমার চেয়ে ভাল বলে আমি মনে করি না। সময়ের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন্ন অভিনেত্রী কাটরিনা সম্পর্কে ইশা কোপিকারের এমন বক্তব্য বর্তমানে ঠাঁই পাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায়, যার মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। তবে ইশার এমন মন্তব্যের বিপরীতে কোন জবাব এখন পর্যন্ত দেননি কাটরিনা।
কুকুরের জন্য জেট বিমান ১৩ বহুতল ভবন ও লাখ ডলারের ভ্রাম্যমাণ বাড়ি!
আসল ঘটনা হার মানিয়েছে ‘সরকারি মাল দরিয়া মে ডাল’ প্রবাদকেও। কুকুরের জন্য প্রাইভেট জেট বিমান, ১৩ বহুতল বাড়ি ও লাখ ডলারের চলমান বাসা। আর এসবের পেছনে চ্যারিটির ব্যাপক সম্পদ অপচয় করার অভিযোগ উঠেছে সবচেয়ে বড় খ্রিস্টান টিভি চ্যানেল ট্রিনিটি ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক (টিবিএন)-এর সাবেক দুই প্রতিষ্ঠাতা কর্মীর বিরুদ্ধে। টিবিএনের প্রতিষ্ঠাতা ধর্মীয় আলোচক পল ও তার স্ত্রী জেন ক্রোচের বিরুদ্ধে অলাভজনক ব্যক্তিগত খাতে চ্যারিটির সম্পদ ব্যাপকভাবে অপচয় করার অভিযোগ উঠেছে। তারা দু’জনে লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেন অনিয়ম করে। যার মধ্যে রয়েছে কুকুরের জন্য জেট বিমান, যার ব্যয় ৫০ মিলিয়ন ডলার। ১৩টি ম্যানসন ৩ লাখ ডলারে চলমান বাসা রাখার ব্যয়। জুলাইতে টিবিএনে প্রধান অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান পল ও জেনের নাতনি ব্রিটনি কপার। তারপর সমপ্রতি তিনি এসব অপচয়ের জন্য তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, টিবিএনের এসব আর্থিক অনিয়মে তিনি ক্ষুব্ধ। ডেইলি টাইমস এ খবর দিয়েছে শুক্রবার। অভিযোগে আরেক সাবেক কর্মী ম্যাক ভেইগকেও অনিয়মের কারণে দায়ী করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, টিবিএন তাদের চ্যারিটির জন্য সংগ্রহ করা অর্থ ফ্লোরিডা, টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ম্যানসন তৈরিতে ব্যয় করে। অভিযোগে বলা হয়, ৫০ মিলিয়ন ডলারের লাক্সারি জেট বিমান ক্রয় করা হয় কুকুরের নাম দিয়ে। অথচ মিস ক্রোচের বেটের দাম ৮ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও বিভিন্ন গেস্ট হাউজের নামে লাখ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়। ড্রাইভারসহ অন্যদের খাবারের জন্য ব্যয় করা হয় লাখ লাখ ডলার। এর বাইরেও টিবিএনের ফান্ড ব্যয় করা হয় যৌন স্ক্যান্ডাল ধামাচাপা দেয়ার জন্য। এসব তথ্য অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে প্রকাশ করে ডেইলি টাইমস। এতে বলা হয়, জেট বিমান কিনতে তারা ভুয়া লোনপত্র ব্যবহার করে। ফলে গত বছর ঋণ কালেকশন কোম্পানি একটি মামলা দায়ের করার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি, জুয়েলারি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিস ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে। তবে এসব অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা টিবিএনের আইনজীবীদের সহায়তা পাচ্ছেন। তারা অভিযুক্তদের ছাড় দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে। এমন একটি মামলা দায়ের করে ম্যাক ভেইগ বলেন, তারা বর্তমান কমিটির অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের বিষয়ে এসব অযাচিত
সোনামের লেখার আকাঙ্ক্ষা
মুম্বাই, ৭ এপ্রিল: লিখতে চান সোনাম। তবে কোনো গল্প বা কবিতা না, নিজের আত্মজীবনী লেখার আকাঙ্ক্ষা এই স্টাইল ডিভার। এবং একদিন তিনি ঠিকই নিজের জীবনী নিজেই লিখবেন বলে প্রত্যয়ী।সম্প্রতি মুম্বাইয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে এসে সোনাম তার এই আকাঙ্ক্ষার কথা মিডিয়াকে জানান।
সোনাম বলেন, “আমার মনে হয় লেখালেখির জন্য আমি এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নই। তবে একদিন আমি নিজের লেখা আত্মজীবনী এভাবেই প্রকাশ করতে চাই। কিন্তু আমার মনে হয় না লেখার জন্য এটা আমার উপযুক্ত বয়স।”
সোনাম চান না তার জীবনীতে শুধু তার ফ্যাশন আর স্টাইলের ব্যাপারেই ভরা থাকুক। এজন্য তিনি আগে নিজের ক্যারিয়ারে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করতে চান। এরপর তিনি ভাববেন তার আত্মজীবনী নিয়ে।
কিন্তু ‘ফ্যাশনিস্টা’ হিসেবে পরিচিত এই তারকার জীবনীতে যদি ফ্যাশনই প্রাধান্য না পায় তাহলে কাকে প্রাধান্য দেয়া হবে তার জীবনীতে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সোনাম বলেন, “পোশাক এবং স্টাইল হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। কিন্তু এটা এমন কিছু না, যা না হলেই আমার চলবে না। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে পারে রোমান্স।”
শুধু লেখিকা হবার আকাঙ্ক্ষাই না, সোনাম একজন সচেতন পাঠকও। সোনাম জানান, তিনি বই পড়ার প্রতি আসক্ত। আর এর জন্য তাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করেছেন তার মা। তাই সোনাম মনে করেন, যদি কোনোদিন তার আত্মজীবনী লেখার আকাঙ্ক্ষাটা পূরণ হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে তার মা।
সেরা যৌন আবেদনময়ী মল্লিকা
বলিউডের মধ্যে গত বছরের সেরা যৌন আবেদনময়ী অভিনেত্রী কে ছিলেন- এমন প্রশ্নে নির্দ্বিধায় হয়তো অনেকেই বলে ফেলবেন বিদ্যা বালানের নাম। কারণ, গত বছর ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবিতে তিনি প্রথমবারের মতো ব্যাপক খোলামেলারূপে হাজির হয়ে যে যৌন আবেদন প্রদর্শন করেছেন তা ছিল সত্যিই অবাক করার মতো। ছবিতে ঘনিষ্ঠ কিছু দৃশ্যে অভিনয় করে গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত অভিনেত্রীতে পরিণত হন তিনি। এ ছবিতে অসাধারণ অভিনয়-পারফরমেন্সের বদৌলতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অ্যাওয়ার্ডও অর্জন করেছেন বিদ্যা । কিন্তু গত বছরের সবচেয়ে যৌন আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন না তিনি। এদিক থেকে বিদ্যাকে পেছনে ফেলে সেরা যৌন আবেদনময়ী হলেন সেক্সসিম্বল অভিনেত্রী মল্লিকা সারাওয়াত। পিইটিএ প্রতি বছরই দর্শক জরিপের মাধ্যমে ‘সেক্সিয়েস্ট ভেজিটেরিয়ান নারী’ হিসেবে একজনকে নির্বাচন করে থাকে। আর এবার এ খেতাব পেলেন মল্লিকা। পিইটিএ’র এক মুখপাত্র জানান, ভোট নেয়ার সময় আমরা নিজেরাও বেশ অবাক হচ্ছিলাম। কারণ, এবারের খেতাবটি বিদ্যার ঝুলিতেই যাবে বলেই অনুমান করছিলাম। কারণ, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবির মাধ্যমে হট অভিনেত্রী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দর্শক শেষ পর্যন্ত সেরা যৌন আবেদনময়ী নারী হিসেবে মল্লিকাকেই নির্বাচন করেছেন। দর্শকরা নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই তাদের মতামত দিয়েছেন। এদিকে বলিউডের হার্টথ্রব অভিনেতাদের পেছনে ফেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পিটিআইএ’র দর্শক জরিপে ‘সেক্সিয়েস্ট ভেজিটেরিয়ান পুরুষ’ নির্বাচিত হয়েছেন ‘কোলাভেরি ডি’ খ্যাত তামিল নায়ক ও গায়ক ধনুষ।
সালমানের বিবাহভীতি!
মুম্বাই, ২১ এপ্রিল: সালমানের সবচেয়ে আলোচিত আর বিখ্যাত প্রেমিকা ঐশ্বরিয়া বিয়ে করলো আজ পাঁচ বছর হলো। আজ অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার পঞ্চম বিবাহবার্ষিকী। তাছাড়া এ বছর অভি-অ্যাশের এই বিশেষ দিনটিতে তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে তাদের মেয়ে বেবি বি-ও। সাবেক প্রেমিকার জীবনে এতো পরিবর্তন, কিন্তু সালমান এখনো সেই আগের মতোই আছেন। বিয়ের পরিকল্পনা তো দূরে থাক, রীতিমতো বিয়ের নাম শুনলেই আঁতকে উঠছেন তিনি।সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ভালোভাবেই প্রকাশ পেল সালমানের সেই বিবাহভীতি।
সালমান হাজির হয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ির ছেলে বাপ্পার বিয়েতে। সেখানে সবার দৃষ্টি ছিল সালমানের দিকে, আর সবার মুখে ছিল একটাই প্রশ্ন ‘সালমানের বিয়ে কবে?’ কিন্তু সালমান কি আর সেই কথা কানে তোলার মানুষ।
কিন্তু, ঘটনা স্পটভাবে ফুটে উঠলো তখনই, যখন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বলিউডের সব সিনিয়র সিটিজেনরা সালমানকে আশীর্বাদ দিতে আসলেন। সবাই সালমানকে একটা আশীর্বাদই দিতে থাকেন ‘জলদি সংসারী হও’। আর এটা শুনেই সালমানের মুখে ফুটে ওঠে ভীতির ছাপ।
সালমান তখন তার ইন্ডাস্ট্রির গুরুজনদের অনুরোধ করেন অন্য কোনো আশীর্বাদ দেয়ার। সালমান বলেন, “এটা না করে, আমাকে আরো বেশি অর্থ, সুস্বাস্থ্য আর সাফল্যের জন্য আশীর্বাদ করুন।”
কিন্তু এরপরও যখন কারো মুখ থেকেই সালমানের বিয়ের প্রসঙ্গটি থামছিল না, তখন সালমান আর বেশি কথা না বাড়িয়ে কেটে পড়েন ওই বিয়ের আসর থেকে।
টিভিতে নিষিদ্ধ ‘ডার্টি পিকচার’!
মুম্বাই, ২২ এপ্রিল: ছোট পর্দায় দেখানো হবে ‘ডার্টি পিকচার’। এটা শোনা মাত্রই ভারতের নাগপুর আদালতে গিয়ে এক আইনজীবী অভিযোগ দাখিল করলেন। এই ছবি ছোটপর্দায় দেখানো ঠিক হবে না, এটা পরিবারের সদস্যদের ওপর বিরূপ ও অনৈতিক প্রভাব ফেলবে। ওই আইনজীবীর অভিযোগ আমলে এনে অবশেষে বিশাল কাটছাঁটের পর ছোটপর্দার জন্য উপযুক্ত করা হয় ‘ডার্টি পিকচার’কে। ৫৮টি অংশ কেটে ছবিটিকে টিভির উপযুক্ত করা হয়। কিন্তু এরপরও অবশেষে দেখানো হলো না ডার্টি পিকচার।রোববার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টায় ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল সনি এন্টারটেইনমেন্টে দেখানোর কথা ছিল বিদ্যা বালানের মেগা ব্লকবাস্টার ছবি ‘ডার্টি পিকচার’। কিন্তু এর বিশেষ কিছু দৃশ্য এবং সংলাপ নিয়ে অনেকেরই আপত্তি ছিল। তাই নাগপুর আদালতে বিচারক ভূষণ ধর্মাধিকারী এবং অশোক ভাঙ্গেলের গঠিত বেঞ্চে শোনানে বিশেষ আদেশ। যেখানে বিচারকরা নির্দেশ দেন ছবির আপত্তিজনক দৃশ্যগুলো কেটে ছোটপর্দায় প্রচারের জন্য।
পরে আদালতের আদেশে ছবির পরিচালক মিলন লুথারিয়া ২২টি দৃশ্যে কাটছাট করেন এবং এরপর ভারতের ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’ আরো ৩৬টি দৃশ্যে ধারালো কাঁচি চালায়। কিন্তু শেষে বেলা সাড়ে ১২টায় যখন ছবিটি প্রচারের সময় আসে তখেই সনি টিভিতে স্ক্রোলে দেখা যায়, “অনিবার্য় কারণে দ্য ডার্টি পিকচার ছবিটি প্রচারিত হচ্ছে না। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
কিন্তু কী কারণে ছবিটির প্রচার স্থগিত করা হলো, তা এখনো প্রকাশ করেনি চ্যানেলটি কিংবা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা। তবে সনি টিভির বিজনেস হেড স্নেহা রজনী জানিয়েছেন এ ব্যাপারে তারা মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলবেন।
১০ বছর পর বলিউডে ফিরছেন শ্রীদেবী
প্রায় ১০ বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন বলিউড ইতিহাসের অন্যতম সফল অভিনেত্রী শ্রীদেবী। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সবকিছু পাকাপাকি হয়েছে। চলতি বছরেই শ্রীদেবী অভিনীত নতুন একটি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ছবির নাম ‘ইংলিশ বিংলিশ’। ছবিটি পরিচালনা করছেন গৌরি সিনদে। ছবিতে অভিনয় করছেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চনও। এর আগে ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া এ জুটির ‘খুদা গাওয়া’ ছবিটি সুপারহিট ছবিতে পরিণত হয়েছিলো। সত্তর দশকের শেষের দিকে অনেক অল্প বয়সে বলিউডে নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করলেও আশি ও নব্বই দশকেই সর্বাধিক সফলতা পান শ্রীদেবী। এই সময়ে হিম্মাতওয়ালা, কর্মা, রূপ কি রানী চোর কা রাজা, মিস্টার ইন্ডিয়া, চালবাজ, খুদা গাওয়াহ, লাডলা, চান্দনী, লামহে, জুদাই ছবির মতো সুপারহিট ছবি উপহার দেন এ অভিনেত্রী। ১৯৯৬ সালে প্রযোজক বনি কাপুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর বলিউডকে বিদায় জানান শ্রীদেবী। জানবি ও খুশি নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার। বলিউড থেকে দূরে সরে গেলেও মাঝে মধ্যেই ছোটপর্দার বিভিন্ন শোতে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে সালমান খানের শো ‘দাস কা দাম’-এ স্বামী বনি কাপুরসহ অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি। এর মধ্যে শ্রীদেবী দায়িত্ব পালন করেছেন এশিয়ান একাডেমী অব ফিল্ম এন্ড টেলিভিশনের বোর্ড অব ডিরেক্টর হিসেবে। বর্তমানে পুরোপুরি সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও শ্রীদেবী শুধু ভক্তদের জন্য ফিরছেন ‘ইংলিশ বিংলিশ’ ছবিটির মধ্য দিয়ে। বর্তমানে ছবিটির শুটিং চলছে। ছবিটি চলতি বছরের শেষেই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে শ্রীদেবী বলেন, আমি প্রায় এক যুগ ধরে বলিউডে নিয়মিত নই। এবার নতুন এ ছবির মধ্য দিয়ে আবার ফিরছি বলিউডে। মূলত ভক্তদের জন্যই আমার এ কামব্যাক। কারণ, যখনই ভক্তদের সঙ্গে দেখা হয় তখনই ছবি কেন ছেড়েছি এতো তাড়াতাড়ি- এ বিষয়টি জানতে চায়। আমি সত্যি বলতে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি এমন কথা শুনলে। সেই ভক্তদের জন্যই আসলে এ বছরই নতুন ছবির মাধ্যমে ফিরছি।ঐশ্বর্যের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
বিনোদন ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বলিউড থেকে দূরে থাকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। প্রথমে আরও এক বছর বলিউড থেকে দূরে থাকার ঘোষণা দিলেও সমপ্রতি নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন ঐশ্বর্য। এক বছর নয়, আগামী দুই মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে বলিউডে ফিরছেন এই সাবেক বিশ্ব সুন্দরী। বর্তমানে মেয়ের যত্ন-আত্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও খࣁব শিগগিরই আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছেন এ্যাশ। ইতিমধ্যে প্রায় তিনটি বিগ বাজেটের ছবিতে অভিনয়ের মৌখিক চুক্তি সম্পন্ন করেছেন তিনি। এর মধ্যে প্রথমেই ঐশ্বর্য অভিনয় করতে যাচ্ছেন ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ নামক একটি ছবিতে। শ্রিরাম রাঘবান পরিচালিত সায়েন্স ফিকশন এ ছবির প্রধান চরিত্রেই অভিনয় করছেন তিনি। তার বিপরীতে থাকছেন হার্টথ্রব অভিনেতা জন আব্রাহাম। ইতিমধ্যে এই ছবির শুটিংয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর বাইরে সঞ্জয় লীলা বানসালী পরিচালিত ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবিতেও দেখা যাবে ঐশ্বর্যকে। এ ছবিতে তিনি বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করবেন। এ ছবিটির স্ত্রিপ্টের কাজ পরিচালক অনেক আগে শেষ করলেও ঐশ্বর্যের জন্য শুটিং শুরু করছেন না। বানসালীর দেবদাস ছবিতে শাহরুখ-ঐশ্বর্য অভিনয় করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায়ই বানসালীর এই দ্বিতীয় ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন শাহরুখ-ঐশ্বর্য জুটি। এর বাইরে যশরাজের একটি বিগ বাজেটের ছবিতেও চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন ঐশ্বর্য। সেই ছবিতে ঐশ্বর্যের বিপরীতে অভিনয় করবেন তার স্বামী অভিষেক বচ্চন। এ তিনটি বিগ বাজেটের ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটছে ঐশ্বর্যের। এ বিষয়ে তিনি মিডিয়াকে সমপ্রতি বলেছেন, আসলে ভেবেছিলাম মেয়েকে এক বছর সময় দেবো। কিন্তু অনেক শান্তশিষ্ট মেয়ে আমার। যে কারও কাছেই ও খুব ভাল থাকে। তাই একটু আগেভাগেই বলিউডে ফেরা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনটি ছবিতে অভিনয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই হয়তো সেসব ছবির শুটিংয়ের অংশ নেয়ার মাধ্যমে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবোপ্রিয়াংকার হ্যাট্রিক
বিগ বি অমিতাভ বচ্চন অভিনীত দুটি সুপারহিট ছবির রিমেকে ইতিমধ্যে কাজ করেছেন প্রিয়াংকা চোপড়া। এর মধ্যে ‘ডন’ ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে এবং ‘অগ্নিপথ’ ছবিতে হৃতিক রোশানের বিপরীতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই দুটি ছবি অভিনেত্রী হিসেবে প্রিয়াংকাকে নিয়ে গেছে আরও এক ধাপ উচ্চতায়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, হ্যাট্রিক করতে যাচ্ছেন প্রিয়াংকা। অমিতাভ বচ্চনের আরও একটি সুপারহিট ছবির রিমেকে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। এবার অমিতাভের ‘জাঞ্জির’-এর রিমেক ছবিতে অভিনয় করবেন প্রিয়াংকা। এর মাধ্যমে বিগ বি’র তিনটি সুপারহিট ছবির রিমেকে কাজ করা হবে এই অভিনেত্রীর। ইতিমধ্যে এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ‘জাঞ্জির’ ছবিতে অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন জয়া বচ্চন। জয়ার চরিত্রটিই এবার প্রিয়াংকা করবেন। ছবিটি পরিচালনা করছেন অপূর্বা লাকিয়া। ছবিতে অমিতাভের চরিত্রটি করবেন দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার চিরঞ্জিবির ছেলে রামচরন তেজা। ছবিতে তেজার সঙ্গে একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে প্রিয়াংকা ক্যামেরাবন্দি হবেন বলেও জানা গেছে। এর মধ্যে বিছানার দৃশ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ১৩ই এপ্রিল থেকে মুম্বইয়ের ফিল্মসিটিতে শুরু হচ্ছে এর শুটিং। ছবিটি নিয়ে বেশ এঙাইটেড প্রিয়াংকা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, পর পর বিগ বি’র তিনটি সুপারহিট ছবির রিমেকে কাজ করা হচ্ছে আমার। প্রথম দুটিতে আমার অভিনয়-পারফরমেন্স দর্শকরা অনেক পছন্দ করেছেন। এবার ‘জাঞ্জির’-এর রিমেক ছবিতেও শতভাগ উজার করে দেয়ার চেষ্টা থাকবে। এর স্ক্রিপ্ট আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। এপ্রিল থেকেই এর শুটিংয়ে অংশ নেবো। আশা করছি ভাল কিছুই হবে।১ কোটি রুপি আয় ১০ মিনিটে!
অর্থের মানদণ্ডে বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী হওয়ার ইঁদুরদৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন কাটরিনা কাইফ। অবিশ্বাস্য হলেও মাত্র ১০ মিনিট র্যাম্পে হাঁটার জন্য সম্প্রতি তাকে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। লোভনীয় এ প্রস্তাব লুফেও নিয়েছেন ‘রেস’খ্যাত ২৭ বছর বয়সী এই বলিউড তারকা। ভারতের কেরালা রাজ্যের কোচিতে অনুষ্ঠিতব্য ফ্যাশন শোটিতে অংশ নেয়ার জন্য সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছেন কাটরিনা। কোচির ফ্যাশন শোটির র্যাম্পে মাত্র ১০ মিনিট হাঁটার বিনিময়ে তিনি পারিশ্রমিক পাবেন ১ কোটি ভারতীয় রুপি। এ প্রসঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জিনিউজ জানায়, মঞ্চে পারফর্মেন্সের ক্ষেত্রে দক্ষিণের তারকা আর বলিউডের তারকাদের পারিশ্রমিকের ভেতরে রয়েছে বিশাল ফারাক। বাজারদর বিবেচনা করে দক্ষিণের তারকাদের মধ্যে এখন এগিয়ে রয়েছেন অসিন, তৃষা ও শ্রেয়া সরণ। প্রতিটি মঞ্চ পারফর্মেন্সের জন্য তারা পাচ্ছেন ৩০ লাখ রুপি। অথচ কাটরিনা একাই ঝুলিতে ভরতে যাচ্ছেন ১ কোটি রুপি। বলিউডের পুরুষ তারকাদের পারিশ্রমিক তো আরও বেশি। উদাহরণ হিসেবে শাহরুখ খানের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রতিটি মঞ্চ পারফর্মেন্সের জন্য অন্তত ২ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন তিনি।সানি লিওন ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন
অবশেষে পর্নো তারকা সানি লিওন ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন। কানাডায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত সানি আজই সামাজিক ওয়েবসাইট টুইটারে জানান, সবার জন্য আমার কাছে আজকে একটি বড খবর আছে। আজ আমি আইনগতভাবে ভারতের নাগরিক হলাম। ভারতীয় টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বস-৫ এর মাধ্যমে নিজের পূর্বপুরুষের দেশ ভারত তথা ভারতীয় দর্শকদের কাছে সুপরিচিতি পান কারেন মালহোত্রা ওরফে সানি লিওন। এই টিভি সিরিয়ালে তার অংশগ্রহণ চলাকালীন সময়েই আলোচিত পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট তার সুপারহিট ছবি জিসম-এর পরবর্তী সিক্যুয়াল জিসম-২ এর জন্য সানিকে চুক্তিবদ্ধ করেন। জিসম এ বিপাশা বসুর খোলামেলা আবেদনময় উপস্থিতি ছবিটিকে বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য এনে দেয়। জিসম-২ এ সানি তার চেয়ে বেশি আলোড়ন তুলবেন বলে বলিউডি ছবির বিশ্লেষকরা আগাম ধারণা দিয়েছেন। মহেশ কন্যা ও সাবেক বলিউড নায়িকা পূজা ভাট প্রযোজিত এ ছবিতে সানি লিওনের বিপরীতে অভিনয় করবেন মডেল ও অভিনেতা দিনো মারিয়ো।ফোন রিসিভ করছেন না তৌকির
মেজ বোন তানজিন হায়দারের দেড় কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের ফৌজদারি মামলার প্রসঙ্গে অভিনেতা তৌকির আহমেদ বলেছেন, ‘এটি আমাদের পারিবারিক বিষয়। মিডিয়ায় এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।’ গত ১৯ মার্চ রাতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তৌকির এমন কথা বলেন। তৌকির বলেন, গত ১৯ মার্চ ঢাকা মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্টেট্র আদালতে আমি এবং আমার স্ত্রী বিপাশা হায়াতের বিরুদ্ধে আমারই মেজ বোন তানজিন হায়দার একটি ফৌজদারি মামলা করেছেন। এই অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের গোটা পরিবারকে গভীরভাবে ব্যথিত ও বিস্মিত করেছে। পারিবারিক বিষয়কে গণমাধ্যমে টেনে আনাকে আমরা মোটেই সমর্থন করি না।’ এরপর থেকেই তৌকির আর গণমাধ্যম কর্মীদের ফোন রিসিভ করছেন না। এমনকি বিপাশাও পরিচিতজনদের এড়িয়ে চলছেন। অবশ্য তৌকির যায়যায়দিন বিনোদনকে বলেছেন, ‘২০০০ সালেই আমি নক্ষত্রবাড়ি রিসোটের জমি কিনেছিলাম। আর মেজ বোনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছি ২০১০ সালে। ২০১১ সালে সে টাকা পরিশোধ ও করে দিয়েছি।’ফিরছেন লারা
কিছুদিন আগেই কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন সেক্সসিম্বল বলিউড অভিনেত্রী লারা দত্ত। বর্তমান সময়টা কন্যাকে নিয়েই ব্যস্ততায় পার করছেন এ তারকা। স্ত্রী লারা ও কন্যাকে সময় দিতে টেনিস থেকে দুই মাসের বিরতি নিয়েছেন মহেশ ভূপতি। খুব শিগগিরই একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মেয়ের নাম রাখা হবে বলেও মহেশ তার টুইটার একাউন্টে জানিয়েছেন। এদিকে সমপ্রতি কন্যা হওয়ার পর প্রথম মিডিয়ার সামনে এসেছিলেন লারা। তবে তাকে খুব বেশি সময় ধরে রাখা যায়নি। দু-একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই দ্রুত গাড়িতে ওঠে চলে যান তিনি। লারার কাছে সবারই একটি প্রশ্নই মূলত ছিল। আর তা হলো সন্তান হওয়ার পর তিনিও ঐশ্বর্যের মতো অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতিতে যাচ্ছেন কিনা। এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে খুব বেশি ভাবেননি লারা। ঝটপট তিনি জানান, আমি এত সময় নিচ্ছি না। কারণ ক্যামেরার সামনে থাকতে আসলে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। মা হওয়ার জন্য এমনিতেই কিন্তু প্রায় এক বছরের বিরতি নিয়ে ফেলেছি অভিনয় থেকে। এখন আর দীর্ঘ কোন বিরতিতে যেতে চাই না। তবে মাস খানেক আমার মেয়ের খুব কাছাকাছি থাকতে চাই। তারপর পরিচালকদের সঙ্গে শিডিউল মিলিয়ে কাজ করবো বলে ঠিক করেছি। বর্তমানে আমার হাতে চারটি ছবি রয়েছে। সবক’টিই বড় প্রোডাকশনের ছবি। আমি পরিচালকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছি। তারা আমাকে শিডিউলের ক্ষেত্রে ছাড় দিবেন বলেই জানিয়েছেন। তাই দুই মাসের মধ্যেই ক্যামেরার সামনে আবারও দাঁড়াবো। দর্শকরা আবারও নতুন নতুন ছবিতে দেখতে পাবেন তাদের প্রিয় লারাকে। মূলত তাদের জন্যই আমার এই দ্রুত প্রত্যাবর্তন।
নিউজ সোর্স মজমিন
এবারের কারণটি ছিল বেশ নতুন
‘দাবাং’ মুক্তির দীর্ঘ সময় পরও সোনাক্ষীকে কোন ছবিতে দেখা যায়নি। এরমধ্যে শুধু অক্ষয়ের বিপরীতে একটি ছবিতে অভিনয়ের কাজ শেষ করেছেন তিনি। কিন্তু সমপ্রতি প্রিয়দর্শনের একটি ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ছবির প্রস্তাব ফেরানোর ঘটনা সোনাক্ষীর কাছে নতুন না হলেও এবারের কারণটি ছিল বেশ নতুনই। ছবিতে বিকিনি পরে তাকে ক্যামেরাবন্দি করার পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু বিকিনিতে বেশ আপত্তি প্রকাশ করেছেন সোনাক্ষী। অক্ষয়ের সঙ্গে নতুন ছবিতে বেশ খোলামেলা হয়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। তাতে কোন সমস্যা নেই। সোনাক্ষীর সমস্যা বিকিনিতে। এখনই এ ধরনের পোশাকে ক্যামেরাবন্দি হতে চান না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মিডিয়া থেকে প্রশ্ন করা হলে সোনাক্ষী বলেন, ‘প্রিয়দর্শন অনেক গুণী একজন পরিচালক। তার ছবিতে কাজ করতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বিকিনি পরে আসলে এই মুহূর্তে কাজ করতে চাই না আমি। আমি এর জন্য প্রস্তুত নই। একটি ছবির সফলতার জন্য এ ধরনের পোশাক পরা অপরিহার্য বলেও আমি মনে করি না’। এদিকে সোনাক্ষী সমপ্রতি শুটিং শুরু করেছেন ‘দাবাং-২’ ছবিটির। বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম এই বিগ বাজেটের ছবিতে সালমানের বিপরীতেই দেখা যাবে তাকে। মূলত ‘দাবাং-২’ নিয়েই সোনাক্ষীর বর্তমান চিন্তা-ভাবনা। এর কাজে বেশ সিরিয়াস তিনি। এমনকি ছবির শুটিং করতে গিয়ে বেশির ভাগ সময় সোনাক্ষীর নিজের মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখছেন।কোনোদিনও সুস্থ হবেন না সালমান
মুম্বাই, ১৬ এপ্রিল: সালমানকে যে রোগে ধরেছে, তা থেকে কোনোদিন সেরে উঠতে পারবেন না তিনি। কারণ সেই রোগের চিকিসাৎ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।সম্প্রতি সালমান জানালেন, দুরারোগ্য এই ব্যধি তার পিছু ছাড়ছে না। কোনো ওষুধ বা অস্ত্রপচার কাজ দিচ্ছে না তার ব্যথায়। স্নায়ুর রোগ ট্রিগমিনাল নিউরালজিয়ার ব্যথা এতোই তীব্র যে, জরিপে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ ব্যক্তিই ব্যথা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
৪৭ বছর বয়সী সালমান সেই ভয়াবহ ব্যথাই সহ্য করছেন সাত কছর ধরে। মাঝখানে গেল বছর একটা বড় অপারেশন করিয়ে আসেন আমেরিকা থেকে। কিন্তু কিছুদিন আগে আবারো নতুন করে ফিরে আসে এই ব্যথা এবং সালমানকে আবারো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়।
সবশেষ নিজের শারীরিক অবস্থা এবং অসুস্থতা নিয়ে সাল্লু বলেন, “এই পুরোপুরি শেষ হওয়ার মতো না। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ওপর আমার আস্থা আছে। আশা করি এর কোনো চিকিৎসা অদূর ভবিষ্যতে উদ্ভাবিত হবে। যা আমাকে আবারো স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে নেবে।”
এই ব্যথার বর্ণনা দিতে গিয়ে সালমান বলেন, “ব্যথাটা অনেকটা চোয়ালে ইলেক্ট্রিক শক লাগার মতো। আবার কখনো মনে হয়, ছুরি দিয়ে চোয়ালে আঘাত করছে। খুবই যন্ত্রণাদায়ক।” সূত্র: ডেইলি ভাস্কর।
কুমিল্লায় ‘বেইলী রোড’
স্টাফ রিপোর্টার: মাসুদ কায়নাত পরিচালিত ২০১১ সালের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘বেইলী রোড’ আজ, আগামীকাল ও ১২ই ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত হবে কুমিল্লা টাউন হল অডিটরিয়ামে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় তার ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের প্রতীক। দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে জাতীয় সচেতনতা ও নতুন প্রজন্মের দর্শক তৈরির লক্ষ্যে, একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে কুমিল্লায় ২০১১ সালের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘বেইলী রোড’ ৩ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কুমিল্লায় বেশ কয়েকটি বড় মাপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কুমিল্লার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোতে এ ধরনের প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ‘বেইলী রোড’ ছবিতে অভিনয় করেছেন নিলয়, আঁচল, চন্দন চৌধুরী, লুৎফর রহমান জর্জ, কাজী হায়াত ও অন্যান্য। এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি।৫৭তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড – সেরা ‘রকস্টার’ রণবীর এবং ‘ডার্টি’ বিদ্যা
বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের ‘অস্কার’ তুল্য অ্যাওয়ার্ড শো ‘ফিল্মফেয়ার’র গালা নাইট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রোববার রাতে। এ উপলক্ষে মুম্বই ফিল্মসিটির সদ্যনির্মিত রিলায়েন্স মিডিয়া ওয়ার্কস স্টুডিও সেজেছিল জমকালো সাজে। বছরজুড়ে হিট ছবির আর সেসব ছবি হিটমেকাররা এসে ভিড় জমান ফিল্মসিটিতে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে অ্যাওয়ার্ড দেয়া-নেয়ার পালা। এবারের আসরে সাতটি ‘ফিল্মফেয়ার ব্ল্যাক লেডি’ জিতে অ্যাওয়ার্ড জেতার মিছিলে নেতৃত্ব দেয় জোয়া আখতারের ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিটি। এরপরেই পাঁচটি ‘ব্ল্যাক লেডি’ জিতে এগিয়ে থাকে ইমতিয়াজ আলির ‘রকস্টার’। অপ্রত্যাশিতভাবে তিনটি ফিল্মফেয়ার জেতা ‘ডার্টি পিকচার’-কে পেছনে ফেলে ‘দিল্লি বেইলি’ জিতে নেয় চারটি পদক। ‘ফিল্মফেয়ার’ সন্ধ্যা মাত করে সেরা অভিনেতা আর অভিনেত্রীর পদকটি ঘরে তোলেন ‘রকস্টার’ রণবীর কাপুর এবং ‘ডার্টি’ বিদ্যা বালান। অন্যদিকে মিউজিক ক্যাটিগরিতে আধিপত্য বিরাজ করেন এ আর রহমান, তার ‘রকস্টার’ মিউজিকের জন্য। তার ‘রকস্টার’ মিউজিক্যাল মিথ জেতে তিনটি পুরস্কার- সেরা গীতিকার, সেরা গায়ক (পুরুষ) এবং সেরা কম্পোজারের। রোববার সন্ধ্যায় বলিউডের আকাশ খালি করে সব তারকা ফিল্মসিটিতে পৌঁছালে অনুষ্ঠান শুরু হয় হারিয়ে
যাওয়া ‘তারা’দের স্মরণ করে। সবাই কিছু সময় নীরবতা পালন করে এবং দাঁড়িয়ে সম্মান জানায় ২০১১ সালে প্রয়াত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের। সম্মান জানানো হয় দেব আনন্দ আর শাম্মি কাপুর থেকে শুরু করে পণ্ডিত ভিম সেন জোশি, জগজিৎ সিং ও ভূপেন হাজারিকাকে। অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার দিক থেকে এবারের ফিল্মফেয়ার আসরে শাহরুখ পিছিয়ে থাকলেও উপস্থাপনা এবং হাস্যরসিকতার দিক থেকে তাকে টপকাতে পারেনি কেউই। বলিউডের ‘রকস্টার’র চাটুলতাও কিং খানের সামনে ম্লান হয়ে গিয়েছিল। তারা যখন একে অপরের সঙ্গে খুনসুটি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তখন সঞ্চালনায় তাদের সহায়তায় করতে মঞ্চে আসেন করন জোহর, আলি জাফর ও মিস ইন্ডিয়া আঙ্কিতা শোরে। শাহরুখের চাটুলতা ছাড়াও দীপিকা পাড়ুকোন, কারিনা কাপুর ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও তাদের উত্তাপ দিয়ে জমিয়ে তোলেন ফিল্মফেয়ারের আসর। এছাড়ার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া হবু দম্পতি রিতেশ দেশমুখ ও জেনেলিয়া ডি’সুজাকেও শেষবারের মতো প্রেমিক জুটি হিসেবে দেখা যায় মঞ্চে। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে। এবারের আজীবন সম্মাননার ‘ব্ল্যাক লেডি’টি তুলে দেয়া হয় জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী অরুণা ইরানির হাতে। ১৯৬১ সাল থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের জন্য নিজেকে নিবেদিত করেছেন এ অভিনেত্রী। উল্লেখ্য, ৫৭তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ১৯শে ফেব্রুয়ারি রাত আটটায় সনি টিভিতে সমপ্রচার হবে।
শহিদের ‘কাব্যভীতি’
মুম্বাই, ৭ এপ্রিল: ‘ফানা’ ছবিতে আমির খানকে দিয়ে শায়েরি করানোর পর এবার পরিচালক কুনাল কোহেলি শায়েরি করালেন অভিনেতা শহিদ কাপুরকে দিয়ে। তাদের নতুন ছীব ‘তেরি মেরি কাহানি’-তে। কিন্তু শহিদের জন্য এই শায়েরি বা কবিতা আবৃত্তি করার অভিজ্ঞতাটা ছিল ভয়ঙ্কর।শহিদ সম্প্রতি ছবির পোস্টার উন্মোচনের অনুষ্ঠানে এসে বলেন, “আমিরের কণ্ঠে ‘ফানা’ ছবিতে কবিতা শুনতে বেশ ভালো লেগেছে। তিনি যেভাবে শায়েরি করেছেন তা অনেক উপভোগ্য ছিল। কিন্তু তার মতো করে যখন আমার বলার পালা আসলো, তখনই আমি ঘাবড়ে গেলাম। এসব ব্যাপারে আমি দারুণ ভীতু।”
শহিদ আরো বলেন, “আমি কুনালকে জানালাম আমি হয়তো শায়েরি করার চেষ্টা করে নিজের মজা উড়াচ্ছি। কিন্তু কুনাল আমাকে ঠাণ্ডা মাথায় বোঝালেন এবং বললেন তিনি আমাকে দিয়ে খুব সহজ উপায়ে এই কাজটি করিয়ে নেবেন। এবং সে আসলেই তা-ই করলো।”
‘তেরি মেরি কাহানি’ ছবিতে শহিদের বিপরীতে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবিতে তিনটি যুগের চিত্র দেখা যাবে। ১৯১০, ১৯৬০ এবং ২০১২ সাল। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন। যেখানে শাহিদের ১৯১০ সালের চরিত্রটির নাম হবে জাভেদ কাদেরি। এক বিগড়ে যাওয়া কবি, যে কারো পরোয়া করে না। কবিতা এবং শায়েরি দিয়ে সব কিছু করতে পারে সে। এমন একটি চরিত্রের জন্য প্রায় অনেক বারই শায়েরি করতে হয় শহিদকে।
এ ব্যাপারে শহিদ বলেন, “শুধু এই জাভেদ চরিত্রটির জন্যই আমাকে শায়েরি করতে হয়েছে। এই ছবির তিনটি চরিত্রের মধ্যে, এই চরিত্রটি হচ্ছে সবচেয়ে আলাদা। ১৯১০ সালে উশৃঙ্খল ছোকড়া খুব কমই ছিল সমাজে, সেই কম ছোকড়াদের মধ্যে এই জাভেদ হচ্ছে সবচেয়ে দুরন্ত।”
তাছাড়া শহিদ এই জাভেদ কাদেরির চরিত্রকে তার ক্যারিয়ারের একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র বলেও ঘোষণা দেন এবং বলেন, “শায়েরি করা ছিল আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন একটি বিষয়। আর এই ছবিটিতেই প্রথমবারের মতো আমি একটি মুসলিম একটি চরিত্রে অভিনয় করলাম। দারুণ নায়কসুলভ একটি চরিত্র এটি। কাউকে তোয়াক্কা করে না। নায়িকার স্বপ্নের পুরুষ যাকে বলে।”
মনরো না মনীষা?
মধুর ভাণ্ডারকার তার ‘হিরোইন’ ছবির কাহিনী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো না মনীষা কৈরালার জীবন থেকে নিয়েছেন- সমপ্রতি এমন প্রশ্নই ঘুরছে বলিউডবাসীর মুখে মুখে। ’৯০ দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনীষার জীবনকে অনেকেই তুলনা করে থাকেন খোলা বইয়ের সঙ্গে। তার বিতর্কিত ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়টা জুড়েই অসংলগ্ন থাকতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি তার ব্যক্তিগত জীবনের ভাঙাগড়াও মিডিয়ার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছিলো সব সময়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মাধুর ভাণ্ডারকার তার এই বহুল আলোচিত ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে কারিনা কাপুরকে দিয়ে উত্থান-পতনে ভরা নেপালি বংশোদ্ভূত এ অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের কাহিনীকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভারতের জাতীয় পুরস্কার জয়ী মাধুর ভাণ্ডারকার এ ধরনের খবর নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, আমাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে এটা কী মেরিলিন মনরোর জীবন কাহিনী? আসলে ‘হিরোইন’ এসবের বাইরে, এখানে কোন একজন অভিনেত্রীর জীবনী নেই৪০ থেকে ৮০ কেজি’র অর্জুন!
মুম্বাই, ১৫ এপ্রিল: শুরুটা হয়েছিল পরিচালকের সহকারী হিসেবে। ইচ্ছা ছিল পরিচালক হবেন। কারণ সাধরণের দৃষ্টিতে নায়ক হওয়া সম্ভব ছিল না অর্জুনের পক্ষে। ১৪০ কেজি ওজনের নায়ক, শুনলেই অনেকে হেসে ওঠেন। তাই ক্যামেরার পেছনেই স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে নিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু এখন অর্জুন নায়ক হওয়ার পথে। ১৪০ থেকে ৮০-তে নেমে এসেছে অর্জুনের ওজন। তবে এই ১৪০ থেকে ৮০-তে নামান যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না অর্জুনের জন্য।টিভি খুললেই দেখা যায়, ‘ইশাকজাদে’র প্রোমোতে ফিট এবং আকর্ষণীয় অর্জুনকে। কিন্তু এক বছর আগেও এই অর্জুন ছিলেন একেবারেই ভিন্ন। সবাই তাকে ‘মোটা’ অর্জুন হিসেবেই জানতেন। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানেই নিজেকে বদলে একেবারে বলিউডের ‘চার্মিং বয়’ হিসেবে অভিষেকের জন্য প্রস্তুত অর্জুন।
বাবা বনি কাপুরের মতো বড় প্ররিচাল এবং প্রযোজক হবেন ভেবে শরীর আর চেহারার দিকে খুব একটা নজর দিতেন না অর্জুন। ‘কাল হো না হো’, ‘সালাম-এ-ইশক’ এবং ‘ওয়ান্টেড’র মতো ছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন তিনি। কিন্তু যার ভেতর আছে অভিনয় প্রতিভা, ওজন কি তাকে ঠেকাতে পারে? সবাই তাকে মোটা হিসেবে জানলেও, বলিউডের কিছু ‘গডফাদার’-দের অনুপ্রেরণায় অর্জুনের ভেতরের নায়কও জেগে উঠলো। অর্জুনের সেই সব ‘গডফাদার’-দের একজন ছিলেন সালমান।
প্রভুদেবার ছবি ‘ওয়ান্টেড’ তৈরির সময় সালমান লক্ষ্য করেন অর্জুনের ভেতরে তারকাকে। তখনই সালমান অর্জুনকে জিমে যেতে পরামর্শ দেন। এমনকি কিছু ট্রেইনারের নামও সাজেস্ট করেন। যাদের কাছে গিয়ে ভাগ্য খুলে যায় অর্জুনের। এক বছরের মাথায় অর্জুন ‘ফ্যাট’ থেকে ‘ফ্যাবুলাস’ হয়ে যান।
অর্জুন নিজেও স্বীকার করেন যে, ওজনের কারণে কোনোদিন ভুলেও নায়ক হওয়ার স্বপ্নও দেখতেনর না তিনি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির এই ‘গডফাদার’রাই তাকে বোঝায়, এই প্রতিকূলতা কিছুই না। যা বুঝতে পেরেই অর্জুন নেমে পরেন, নায়ক হওয়ার সংগ্রামে। যেই সংগ্রসে জয়ী হয়ে অর্জুন এখন ১৪০ থেকে ৮০ কেজির এক ফিট বলিউড হিরো।
মডেল কন্যা পিংকি’র জীবনে ঝড়
তোহুর আহমদ: মডেল কন্যা পিংকির জীবনে বয়ে যাচ্ছে বিরাট ঝড়। দীর্ঘ প্রেম ভালবাসার পর মনের মানুষকে স্বামী হিসেবে পেলেও পাননি ঘর। শ্বশুর পক্ষ থেকে মেনে নেয়া হয়নি এ বিয়ে। এমন এক কঠিন সংগ্রামের মধ্যে জীবন বাঁচাতে স্বামীকে নিয়ে রাজধানী ছেড়ে আশ্রয় নেন জন্মস্থান খুলনায়। বেঁচে থাকার তাগিদেই সেখানে দিয়েছিলেন ফাস্টফুডের দোকান। না, তা-ও সহ্য হয়নি শ্বশুর পক্ষের। সেখান থেকে সন্ত্রাসী লেলিয়ে উচ্ছেদ করা হয় তাদের। ভাগ্য বিড়ম্বনায় ফের আসতে হয় রাজধানী ঢাকায়। এবার সরাসরি গিয়ে ওঠেন শ্বশুরবাড়ি। এরপরই শুরু হয় তাকে নিয়ে অন্য খেলা। তার বিরুদ্ধে থানায় করা হয় চুরির অভিযোগ। পিংকি জানান, তার অপরাধ ভালবেসে হিমেলকে বিয়ে করা। হিমেল কোটিপতি কাস্টমস কমিশনারের একমাত্র পুত্র। ঢাকায় তাদের একাধিক বাড়ি, গাড়ি। চট্টগ্রামে প্রাসাদোপম বাড়ি। আর পিংকিদের বাড়ি খুলনায়। জন্ম মধ্যবিত্ত ঘরে। মডেলিং করতে গিয়েই একে অন্যের সঙ্গে পরিচয়, প্রেম, বিয়ে। কিন্তু কোটিপতি বাবর একমাত্র ছেলের বউ হিসেবে পিংকিকে মেনে নিতে পারছেন না হিমেলের পরিবার। পিংকি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে থানায় জিডি করা হয়েছে। পিংকি’র খালাশাশুড়ি এ্যানি তানবীন ববি গত ১১ই জানুয়ারি গুলশান থানায় দায়ের করা এক জিডিতে মডেল কন্যা পিংকি ও তার স্বামী সৈয়দ রিয়াসাদসিদ্দিকী হিমেলের বিরুদ্ধে মারধর, টাকা চুরি ও ফেসবুকে উদ্দেশ্যমূলক অশ্লীল কথা প্রচারের অভিযোগ এনেছেন। এসব বিষয়ে পিংকি’র প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে স্বামী হিমেলকে নিয়ে তিনি ছুটে আসেন মানবজমিন কার্যালয়ে। বলেন, আমরা বাঁচতে চাই। খোদ হিমেলের অভিযোগ- তার মা যৌতুকের লোভে পিংকিকে মানতে পারছেন না। তার মায়ের দরকার মোটা অঙ্কের যৌতুক, বাড়ি, গাড়ি। তিনি বলছেন, আমি তো বাবার একমাত্র ছেলে। আমাদের সম্পদের তো অভাব নেই। তারপরও আরও বেশি অর্থ, সম্পদ দিয়ে কি হবে? বলেন, প্রেম করে বিয়ে করায় তাদের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটানো হচ্ছে। তবে এসব করে কেউ তাদের ঘর ভাঙতে পারবে না। গত ৮ই জানুয়ারি পিংকির খালুশ্বশুর নূর-ই সাইফুল্লাহ ফয়সাল বাদী হয়ে পিংকি ও তার স্বামী হিমেলের বিরদ্ধে আরও একটি জিডি করেছিলেন। ওই জিডিতে বলা হয়েছে, পিংকি ও হিমেল তার ও তার স্ত্রীর নামে ফেসবুক একাউন্ট খুলে নানা বিদ্রূপাত্মক কথা লিখছেন। এতে সামাজিকভাবে তারা হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। গত ১১ই জানুয়ারি গুলশান থানায় তানবীন ববি’র দায়ের করা জিডিতে বলা হয়েছে, পহেলা জানুয়ারি অসুস্থ ভাইকে দেখতে গেলে পিংকি ও তার স্বামী হিমেল তাকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে বাসায় এসে দেখা যায়, তার ব্যাগে থাকা ১ লাখ ২ হাজার ৬৫০ টাকা নেই। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে পিংকি ও হিমেল বলেন, প্রেম করে বিয়ে করার কারণেই তাদের নানা নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে থানা পুলিশ করা হচ্ছে। পিংকি বলেন, আমি মডেল ছিলাম বলে আমার বিরুদ্ধে নানা অশ্লীল কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছেন ববি ও তার স্বামী। পিংকি বলেন, আমার স্বামী জানেন আমি কি। সে ঠিক থাকলে দুনিয়ায় আমি আর কিছুই চাই না। শত নির্যাতন সত্ত্বেও আমার শ্বশুর আমার বাবার মতো। তিনি অনেক বড় মনের মানুষ। তার পায়ের কাছে থাকতে চাই। হিমেল বলেন, আমি ভালবেসে বিয়ে করেছি। পিংকিকে ছাড়া বাঁচবো না। ওর জন্য দুনিয়া ছাড়তে আমি রাজি। যোগাযোগ করা হলে গুলশান থানার ওসি শাহ আলম বলেন, মডেল কন্যা পিংকি ও হিমেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিডি’র বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে ঘটনাটি পারিবারিক হওয়ায় পারিবারিকভাবেই সমঝোতা করে ফেলার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওদিকে পিংকির খালা শাশুড়ি এ্যানি তানবীন ববি বলেন, মডেল পিংকি হিমেলকে ব্ল্যাকমেল করেছে। কোটিপতি বাবার একমাত্র ছেলেকে হাত করতে সে নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে একাধিক ছেলের সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছে সে। তিনটি বিয়ে হলেও গোপন করেছে হিমেলের কাছে। জাদুটোনার মাধ্যমে সে হিমেলকে বশ করে রেখেছে। এ কারণেই পিংকির আসল রূপ ধরতে পারছে না হিমেল। পারিবারিক মর্যাদার কথা ভেবে বিষয়টি প্রকাশও করতে পারছে না হিমেলের বাবা-মা। মডেল স্ত্রীর প্রেমে মগ্ন হয়ে হিমেল তার বাবা-মা-কেও মারধর করেছে।
এসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই আমার’
এ সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্র ‘আমার চ্যালেঞ্জ’। আশা প্রোডাকশনের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন প্রয়াত মনির হোসেন। বদিউল আলম খোকনের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন সময়ের নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খান। আজকের ‘টেলিফোনে কিছুক্ষণ’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন সাইফ চন্দনচারদিকে হট্টগোল শোনা যাচ্ছে!
মারামারি করছি। তবে যেনতেন মারামারি নয়। শূন্যের ওপর মারামারি করছি। এফডিসিতে একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য এ মারামারি অ্যারেঞ্জ করা হয়েছে।
কোন ছবির শুটিং চলছে?
‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির। শাওন ভাইয়ের এ ছবিটি পরিচালনা করছেন বদিউল আলম খোকন ভাই।
এ সপ্তাহে তার পরিচালনায় ‘আমার চ্যালেঞ্জ’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে?
এ ছবি আমার ক্যারিয়ারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছবি হবে। নির্মাণ সময় থেকেই এ ছবিটি নিয়ে আমার আশা ছিল অনেক। তাছাড়া এ ছবির প্রযোজক-পরিচালকের ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’ ছবিটি আমার ক্যারিয়ারে সর্বাধিক রেকর্ড গড়েছে।
‘আমার চ্যালেঞ্জ’ মুক্তির পর আপনার আশা পূরণ হয়েছে কি?
অবশ্যই। প্রথম তিনদিনে ছবিটি দেখার জন্য যে পরিমাণ দর্শক সমাগম হয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। দিনে দিনে এর দর্শকপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে। একটু আগেও শুনেছি প্রেক্ষাগৃহে উপচেপড়া ভিড়। ‘আমার চ্যালেঞ্জ’ আমার আশা পূরণ করতে চলেছে।
আপনার বিগত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির তুলনায় বাড়তি কি আছে এ ছবিতে?
পরিপূর্ণ ও দর্শক পছন্দের মতো এ সময়ের গল্প। উপস্থাপনে সমসাময়িক প্রেক্ষাপট। বিদেশী লোকেশন, যেখানে টলিউড ও বলিউডি ছবির শুটিং হয় সেখানে এ ছবির কিছু দৃশ্য শুটিং হয়েছে। সব মিলিয়ে ভিন্ন স্বাদ।
অনেকেই বলছেন আপনি বেশ পলিটিক্স করে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় চলচ্চিত্রজনরা আপনার সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করছেন?
একথা আমি মানতে পারলাম না। কারণ, দেশে এবং আমাদের চলচ্চিত্রে অনেক বড় বড় পলিটিশিয়ান আছে। তাহলে তো চাইলে অনেকেই সেরা নায়ক হতে পারতো। নায়ক হওয়ার জন্য আর সাধনা করতে হতো না। আসলে যারা অভিযোগ তুলেছেন তারা অনেকেই আমাকে তাদের ছবিতে অভিনয়ের জন্য বলেন। কিন্তু গল্প ও চরিত্র পছন্দ না হওয়া বা শিডিউলের কারণে যখন তাদের না করে দেই তখনই তারা আমাকে নিয়ে এসব কথা বলেন। অবশ্য এসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই আমার।
আগামীর পরিকল্পনা কি?
মুক্তি অপেক্ষায় আছে ‘এক টাকার দেনমোহর’ ও ‘এক মন এক প্রাণ’। দুটি ছবিই সুপারহিট হওয়ার মতো। এছাড়া খুব শিগগিরই শুটিং করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছি দুটি ছবি নিয়ে। জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় এবং উত্তম আকাশের পরিচালনায় ভিন্ন ধরনের গল্প ও উপস্থাপনে দুটি ছবির শুটিং করবো এপ্রিল-মে মাসে। আর চলতি বছরে শুক্রবারে কোন শিডিউল রাখছি না। তাছাড়া এ বছর ১৫টি ছবিতে অভিনয় করলেও আগামী বছর থেকে ১০-১২টির বেশি ছবিতে অভিনয় করবো না।
টাকা আর জীবন দুটোকেই ঘৃণা করেন বর্ষা
স্টাফ রিপোর্টার: টাকা আর নিজের জীবনটাকে ঘৃণা করতে শুরু করেছেন চলচ্চিত্রের এ সময়ের হট ও আলোচিত নায়িকা বর্ষা। সমপ্রতি ফেসবুকে এমনই এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এর ভিত্তিতে কিছু মন্তব্যও আসে তার ফেসবুক বন্ধুদের। তবে কোন মন্তব্যেই সাড়া দেননি বর্ষা। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদক বর্ষার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানতে পারে, বর্ষা ও এমএ জলিল অনন্ত বিয়ে করেছেন সবে কিছুদিন। কিন্তু তাদের সম্পর্ক খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। সম্পর্কের ভালর পরিমাণটা মাপতে গেলে বলতে হয়, এই ভাল আবার এই খারাপ। কিছুদিন আগে বর্ষাকে নিয়ে অনন্ত স্পেনসহ আরও কয়েকটি দেশ ঘুরে আসেন। এতে বর্ষা তার ওপর বেজায় খুশি। কিন্তু দেশে আসার পরই বর্ষাকে সময় দিতে পারছেন না অনন্ত। আর এ নিয়েই বর্ষার সঙ্গে অনন্তের মান-অভিমান আর ঝগড়া চলছে। আর ফেসবুক স্ট্যাটাসটা এ কারণেই বলে ধারণা করা হয়। এ বিষয়ে বর্ষার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফেসবুকে এরপরও আমি দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছি। সেগুলো দেখেছেন নিশ্চয়ই। তারপরও আমি তাকে অনেক ভালবাসি। বর্ষা বর্তমানে অনন্তের সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করছেন অনন্য মামুনের পরিচালনায় ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ ছবিতে। ছবিতে আরও অভিনয়ে আছেন বলিউড নায়িকা স্নেহা উল্লাল। এফডিসি ও থাইল্যান্ডে ছবিটির শুটিং হয়েছে। এখন ছবিটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। সমপ্রতি তাদের জুটির গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিচালনায় ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি বর্তমানে একাধিক প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন হচ্ছে।
কোনোদিনও সুস্থ হবেন না সালমান
মুম্বাই, ১৬ এপ্রিল: সালমানকে যে রোগে ধরেছে, তা থেকে কোনোদিন সেরে উঠতে পারবেন না তিনি। কারণ সেই রোগের চিকিসাৎ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।সম্প্রতি সালমান জানালেন, দুরারোগ্য এই ব্যধি তার পিছু ছাড়ছে না। কোনো ওষুধ বা অস্ত্রপচার কাজ দিচ্ছে না তার ব্যথায়। স্নায়ুর রোগ ট্রিগমিনাল নিউরালজিয়ার ব্যথা এতোই তীব্র যে, জরিপে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ ব্যক্তিই ব্যথা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
৪৭ বছর বয়সী সালমান সেই ভয়াবহ ব্যথাই সহ্য করছেন সাত কছর ধরে। মাঝখানে গেল বছর একটা বড় অপারেশন করিয়ে আসেন আমেরিকা থেকে। কিন্তু কিছুদিন আগে আবারো নতুন করে ফিরে আসে এই ব্যথা এবং সালমানকে আবারো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়।
সবশেষ নিজের শারীরিক অবস্থা এবং অসুস্থতা নিয়ে সাল্লু বলেন, “এই পুরোপুরি শেষ হওয়ার মতো না। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ওপর আমার আস্থা আছে। আশা করি এর কোনো চিকিৎসা অদূর ভবিষ্যতে উদ্ভাবিত হবে। যা আমাকে আবারো স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে নেবে।”
এই ব্যথার বর্ণনা দিতে গিয়ে সালমান বলেন, “ব্যথাটা অনেকটা চোয়ালে ইলেক্ট্রিক শক লাগার মতো। আবার কখনো মনে হয়, ছুরি দিয়ে চোয়ালে আঘাত করছে। খুবই যন্ত্রণাদায়ক।” সূত্র: ডেইলি ভাস্কর।
ফের মা হচ্ছেন ঐশ্বর্য!
আবারও মা হচ্ছেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ব্যাপারটা বেশ অবাক করার মতোই। কারণ, চার মাস হলো একটি কন্যা সন্তানের জননী হয়েছেন তিনি। সেই মেয়েকে নিয়েই এখন ঐশ্বর্যের দিন রাত্রী। বর্তমানে সন্তানসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন তিনি। সেখানে দুবাই ওয়ার্ল্ড কাপ ইভেন্টে একটি ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছা দূত ঐশ্বর্য। সন্তানকে নিয়ে এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। এই সফরটি বেশ উপভোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ঐশ্বর্যের আবার মা হওয়ার বিষয়টি বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বলিউডপাড়ায়। তার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এমনটাই জানিয়েছেন সমপ্রতি। এ কারণেই লোভনীয় বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব থাকলেও সেগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছেন ঐশ্বর্য। এমনকি বড় একটি প্রজেক্টের ছবিতে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই কাজ করার কথা থাকলেও পিছপা হয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। আপাতত কোন ছবিতে কাজ করবেন না বলেও সমপ্রতি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে বর্তমানে শুধু বিজ্ঞাপন এবং শুভেচ্ছা দূত হিসেবেই কাজ করছেন ঐশ্বর্য। বেশ বড় বড় পরিচালক তাদের ছবিতে তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখালেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ঐশ্বর্য। ঐশ্বর্যের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এ বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করছেন ঐশ্বর্য। তিনি আবারও মা হতে আগ্রহী। এ কারণে বিজ্ঞাপন ছাড়া কোন কাজে অংশ নিচ্ছেন না এখন। তবে বিষয়টি গোপন রাখা হচ্ছে। এদিকে ঐশ্বর্যের দ্বিতীয়বারের মতো মা হওয়ার খবরে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় মিডিয়াগুলো বেশ ফলাও করে প্রচার করছে খবরটি। তবে এমন খবরের বিপরীতে ঐশ্বর্য কিংবা বচ্চন পরিবারের তরফ থেকে কোন মন্তব্য এখনও মিলেনি।শাহরুখের বিরল অর্জন
মুম্বাই, ৪ এপ্রিল: বিশ্বখ্যাত ইয়েল ইউনিভার্সিটির সম্মানজনক ‘চাব ফেলোশিপ’ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। মরগ্যান ফ্রিম্যান, এডওয়ার্ড জেমস এবং রবার্ট রেডফোর্ডের পর তিনিই হলে বিশ্বের চতুর্থ অভিনেতা যিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটির এই বিশেষ ফেলোশিপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।এপ্রিলের ১২ তারিখে বিশেষ বক্তা হিসেবে ইয়েল ইউনিভার্সিটির আবাসিক ‘টিমোথি উইট কলেজ’-এ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বক্তব্য রাখবেন তিনি। এই ফেলোশিপ ইয়েল ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে সম্মানজনক ফেলোশিপ। যা নোবেল বিজয়ী, বিশ্বনেতা এবং শিক্ষাবিদদের দেয়া হয়ে থাকে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, “শাহরুখ তার চলচ্চিত্র এবং জনহিতৈষী কর্মকাণ্ড দিয়ে চাব ফেলোশিপ অর্জনের ক্ষমতা অর্জন করেছেন অনেক আগেই। তিনি তার প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিল্পী এবং প্রতিটি শিল্পপ্রেমীর জন্যই উপযুক্ত উদাহরণ। তিনি তার মেধা দিয়ে শিল্পকে যেভাবে ক্ষমতায় রূপ দিয়েছেন, তা প্রত্যেকের জানা উচিত। তিনি অনেকের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা, তাই তাকে ‘চাব ফেলোশিপ দিতে পেরে আমরা সম্মনিত বোধ করছি।”
১৯৩৬ সাল থেকে এই ফেলোশিপের প্রদান শুরু হয়। প্রতিবছর ফেলোশিপ অর্জনকারীদের হাতে সনদ তুলে দেয়ার জন্য আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের আগে ‘চাব ফেলো’-রা ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সময় কাটান, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বিলেষ বক্তব্য দেন। এর আগে ‘চাব ফেলোশিপ’ গ্রহণের গৌরব অর্জন করেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, রোনাল্ড রিগ্যান, জিমি কার্টার, লেখক অক্টোভিয়া পাজ, টনি মরিসন, চলচ্চিত্র নির্মাতা সফিয়া ক্যাপোলা, কোরিওগ্রাফার মিখাইল ব্যারিসনিকোভ এবং সাংবাদিক ওয়াল্টার ক্রোনকাইট সহ আরো অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, যাদের সঙ্গে শামিল হবে এখন থেকে শাহরুখের নামও।
হাল ছাড়েননি রুমানা
মোশাররফ রুমী: মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন রুমানা। আর তাই মিষ্টি নিয়ে আগ্রহের অন্ত নেই তার। সমপ্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি বিষয়। জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান এখন রুমানাকে খুব করে ডাকছেন মিষ্টি নামে। কারণ, এ মুহূর্তে জাহিদ হাসানের নির্দেশনায় সিরাজগঞ্জে শুটিং চলছে ২৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘সুইট মানে মিষ্টি’র। আর এতে জাহিদ হাসানের বিপরীতে মিষ্টি নামের চরিত্রে রূপদান করছেন রুমানা। এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, মজার একটি ঘটনা এটি। সে সঙ্গে অন্য রকমও। নিজের পছন্দের খাবারটিই এখন আমার নাম হয়ে গেছে। ভালই লাগছে এ নামের ডাক শুনতে। এদিকে, ‘সুইট মানে মিষ্টি’ ছাড়াও ‘অনুভূতির ছোঁয়া তুমি’ নামের একটি নাটকে রোমান্টিক চরিত্রে অচিরেই দেখা যাবে তাকে। শোবিজে রুমানার অভিষেক হয়েছিল মডেলিংয়ের মাধ্যমে। এরপর আসেন টিভি নাটকে। বছর চারেক আগে নাম লেখান চলচ্চিত্রে। বর্তমানে এ অভিনেত্রী চলচ্চিত্রকে বেশি গুরুত্ব দিলেও ভুলে থাকেননি টেলিভিশন মিডিয়া। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এখন প্রায়ই টিভি নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। আমাদের শোবিজ ইতিহাসে দেখা যায়, টিভি নাটকের শিল্পীরা বড় পর্দায় গিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না। এ কারণে টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুমানা বছর চারেক আগে চলচ্চিত্রে নাম লেখালে অনেকেই ঠোঁট উল্টেছিলেন। কিন্তু তাই বলে রুমানা হাল ছাড়েননি। বাঁকা কথা গায়ে না মেখে চোখ বুজে কাজ করে গেছেন। চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রমাণের পাশাপাশি তিনি এবার জয় করে নিয়েছেন স্বীকৃতি। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছেন ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। রুমানাকে অভিনন্দন জানিয়ে এই অর্জনের অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন, এটা আসলে আমার জন্য কিছুটা অবিশ্বাস্য। কারণ মাত্র চার বছর হলো চলচ্চিত্রে কাজ করছি। সবমিলিয়ে অভিনয় করেছি ২৬টা ছবিতে। আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র অভিনেত্রী আছেন, তাদের ডিঙিয়ে আমি যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবো- এরকম ভাবনা আমার মোটেও ছিল না। তাই খবরটা যখন শুনি, বেশ চমকে গিয়েছিলাম। রুমানা আরও বলেন, ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ পছন্দের একটি ছবি। এতে কাজ করার সময়ই আমার খুব ভাল লেগেছিল। আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী, ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। পুরস্কার পাওয়াটা হচ্ছে বাড়তি পাওয়া। এই পুরস্কার আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভাল অভিনয় করতে অনুপ্রাণিত করবে। চলচ্চিত্রে রুমানার যাত্রা হয়েছিল পিএ কাজল পরিচালিত ‘এক টাকার বউ’ ছবি দিয়ে। প্রথম ছবিই ছিল ব্যবসা সফল। এরপর একে একে ‘প্রেমে পড়েছি’, ‘বিয়ে বাড়ি’, ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ‘মা আমার চোখের মণি’ প্রভৃতি ব্যবসা সফল ছবি উপহার দেন তিনি। যদিও রুমানার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা, এখনও তিনি নিজেকে একক নায়িকা হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি। ঢালিউডের চলচ্চিত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প প্রাধান্য পাচ্ছে। আর এই ত্রিভুজ প্রেমের ছবিতে শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটির সঙ্গে আরেকটি ‘প্যারালাল হিরোইন’ হিসেবে দেখা যাচ্ছে রুমানাকে। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবিতেও রুমানা ছিলেন দ্বিতীয় নায়িকা। এ প্রসঙ্গে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে কি আমি চলচ্চিত্রে এসেছি শুধু অভিনয় করার জন্য। নায়িকা হওয়ার জন্য নয়। ভাল হলে যে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে আমার আপত্তি নেই। প্রথম বা দ্বিতীয় নায়িকা আর একক বা দ্বৈত নিয়ে আমি আপাতত ভাবছি না।তারপরও যদি জানতে চান, একক নায়িকা হিসেবেও বেশ কিছু ছবিতে আমি কাজ করছি। যার মধ্যে রয়েছে ‘কাজের মানুষ’, ‘সবুজ কেন অপরাধী’, ‘কাছের শত্রু’ ইত্যাদি।
প্রভা অভিনয়ে ফিরলেন
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবেশেষে অভিনয়ে ফিরলেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। গতকাল ঢাকার উত্তরখানের প্রমি শুটিং হাউজে কায়সার আহমেদ পরিচালিত খণ্ড নাটক ‘প্রণয়িনী’ নাটকের মধ্য দিয়ে প্রায় দুই বছর বিরতি শেষে অভিনয়ে ফিরলেন এ অভিনেত্রী। রিজওয়ান খান রচিত কায়সার আহমেদ পরিচালিত ‘প্রণয়িনী’ নাটকে প্রভার বিপরীতে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা আনিুসর রহমান মিলন। আবারও অভিনয়ে ফেরা প্রসঙ্গে প্রভা বলেন, ‘সবার দোয়ায় আবারও আমি অভিনয়ে ফিরেছি এটা সত্যিই আমার জন্য অনেক আনন্দের। আমি আমার বাবা মায়ের প্রতি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ যে তারা শেষ পর্যন্ত আমাকে আবার অভিনয়ে ফেরার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। বিশেষভাবে আমি কৃতজ্ঞ আমার স্বামী শান্তর কাছে। তিনিই আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা যুগিয়েছেন। কৃতজ্ঞ নির্মাতা কায়সার ভাইয়ের কাছেও’। ‘প্রণয়িনী’ নাটকের শুটিং শেষ হবে আজ। উল্লেখ্য, প্রভাকে সর্বশেষ সৈয়দ জামিম পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘পথ জানা নেই’ তে অভিনয় করতে দেখা যায়। একুশে টিভিতে প্রচারের ল্ষ্যে ‘প্রণয়িনী ’ নাটকটি নির্মিত হচ্ছে। এই নাটক ছাড়াও প্রভা সালাউদ্দিন লাভলুর ‘নয়া পালা’, মোহন খানের নাম ঠিক না হওয়া একটি নাটক ও হিমু আকরামের ‘কঙ্কাবতীর চিঠি’ নাটকে অভিনয় ক‘ভাল গল্পের ছবি দর্শক দেখবেই’
বর্তমান চলচ্চিত্রে দর্শকপ্রিয় নায়ক ডিপজল অভিনীত ‘মানিক রতন দুই ভাই’ শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তির প্রথম শো থেকেই দর্শকদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। বর্তমান চলচ্চিত্রের দুঃসময়ে এমন একটি সাফল্য প্রয়োজন ছিল শিল্পের জন্য। ‘মানিক রতন দুই ভাই’ ছবি নিয়ে আজ ‘টেলিফোনে কিছুক্ষণ’ বিভাগে কথা বলেছেন ছবির কাহিনীকার ও নায়ক ডিপজল। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনআপনি তো এখন কক্সবাজারে?
হ্যাঁ। কক্সবাজারে আমার প্রযোজিত ও এফআই মানিক পরিচালিত ‘সৌভাগ্য’ ছবির শুটিং করছি।
এই ছবিতে তো আপনার নায়িকা মৌসুমী, কেমন লাগছে কাজ করতে?
মৌসুমীর সঙ্গে এর আগেও আমি অনেক ছবিতে কাজ করেছি। এবারই প্রথম নায়ক-নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করছি। ভাল লাগছে। আমাদের নতুন এই জুটিকে দর্শক বেশ পছন্দ করবে।
‘মানিক রতন দুই ভাই’ ছবিটির খবর পেয়েছেন?
অবশ্যই পেয়েছি। শুক্রবার থেকেই ছবিটি দর্শকদের ভালবাসা পেয়ে চলেছে। দীর্ঘদিন পর কোন ছবি এতো বড় সাফল্য পেয়েছে।
এ সাফল্যের নেপথ্য কারণ কি?
প্রথমত ছবির গল্প। জমজমাট একটি গল্প রয়েছে এই ছবিতে। ভাল গল্পের ছবি হলে দর্শক দেখবেই। দ্বিতীয়ত গল্প অনুযায়ী নির্মাণশৈলী। কাজী হায়াৎ অত্যন্ত যত্ন সহকারে ছবিটি নির্মাণ করেছেন। আমি, কাজী মারুফসহ সবার কাছ থেকে অভিনয় আদায় করে নিয়েছেন। এ জন্য ছবিটি দর্শকরা গ্রহণ করেছেন।
চার মাস পর আপনার অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে।
গত কোরবানির ঈদের পর এই প্রথম আমার অভিনীত কোন ছবি মুক্তি পেয়েছে। কারণ আমি গল্প জেনে বুঝে শুনে অভিনয় করি। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে অভিনয় করি। এর জন্য আমার অভিনীত ছবি মুক্তি পেতে সময় লাগে। তবে দর্শক যে আমাকে মনে রাখে, আমার জন্য অপেক্ষা করে তার প্রমাণ ‘মানিক রতন দুই ভাই’।
আপনার আগামী ছবিগুলোর খবর বলুন?
আমার অভিনীত ‘বাজারের কুলি’ ৪ঠা মে মুক্তি পাবে। তারপর মুক্তি পাবে ‘স্বামী ভাগ্য’ এবং ‘এদেশ তোমার আমার’। আর ‘সৌভাগ্য’ ছবির শুটিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে নতুন ১১টি ছবির কাজ।
এক বছর পর…
অনেক দিন ধরে সাহারা নতুন কোন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন না। প্রায় এক বছর পর নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। নাম ‘ঢাকা টু বোম্বে’ ইতিমধ্যেই ছবিটির শুটিংও করে চলছেন। কক্সবাজারে মহরত অনুষ্ঠানের পর ছবির শুটিং শুরু হয়ে যায় সেখানে। কক্সবাজার ও টেকনাফ বিভিন্ন জায়গায় ছবির শুটিং চলছে। ছবিটি পরিচালনা করছেন করছেন উত্তম আকাশ। ছবিতে সাহারার নায়ক হিসেবে অভিনয় করছেন সময়ের নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খান। সাহারা বলেন, অনেক দিন পর নতুন ছবির শুটিং শুরু করেছি। আসলেই ভাল লাগছে। ছয় মাস-এক বছর ধরে নতুন চুক্তির কোন ছবিতে অভিনয় করা হয়নি। পুরনো ছবির শুটিং করে চলেছি। তাই নতুন চুক্তির এ ছবিতে অভিনয় করে বেশ ভাল লাগছে। এ ছবির শুটিংয়ের জন্য খুব শিগগিরই ভারতে যাবেন সাহারা। মুম্বইতে ছবির শুটিং হবে বলে ছবির পরিচালক উত্তম আকাশ জানিয়েছেন। এ ছবিতে সাহারার সঙ্গে ভারতের একজন নায়িকাও অভিনয় করবেন। আর এ দুই নায়িকার বিপরীতে অভিনয়ে আছেন শাকিব খান। ‘ঢাকা টু বোম্বে’ ছবিটি ছাড়াও সাহারা কক্সবাজারে বদিউল আলম খোকনের পরিচালনায় ‘সন্তান কেন সন্ত্রাসী’ এবং এফআই মানিকের পরিচালনায় ‘মাই নেম ইজ সুলতান’ ছবি দু’টির গানের এবং কিছু দৃশ্যের চিত্রায়ণে অংশ নিবেন। দুটি ছবিতেই সাহারার নায়ক হিসেবে আছেন শাকিব খান। সাহারা অভিনীত বর্তমানে মুক্তি অপেক্ষায় আছে বদিউল আলম খোকনের পরিচালনায় ‘ডন নাম্বার ওয়ান’, শাহিন-সুমনের পরিচালনায় ‘সন্তানের মতো সন্তান’। এছাড়া শাকিব খানের সঙ্গে সাহারা জুটি হয়ে এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছেন এফআই মানিকের পরিচালনায় ‘বিচার আমি করবো’, শাহিন-সুমনের পরিচালনায় ‘খোদার পরে মা’। খুব শিগগিরই ছবিগুলোর শুটিং শুরু হবে বলে নির্মাতা সূত্র জানায়। সাহারা বলেন, সব ছবির গল্পই একটি থেকে অন্যটি আলাদা। আর আমার চরিত্রেও রয়েছে বেশ বৈচিত্র্য।সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রিয়াঙ্কা
মুম্বাই, ৪ এপ্রিল: শাহরুখের মনে এবং পরিবারে প্রিয়াঙ্কা খুব বেশি প্রভাব না খাটাতে পারলেও, টুইটারে সবচেয়ে প্রভাবশালী হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পিনস্টোর্ম ইন্ডিয়া নামের একটি অনলাইন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।ওই সংস্থা জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। টুইটারে শচিন, অমিতাভ কিংবা শাহরুখও এতো বেশি ফলোওয়ার সংগ্রহ করতে পারেননি, যতো এই ‘জংলি বিল্লি’ করেছেন।
টুইটারে প্রিয়াঙ্কার পর প্রভাবশালীদের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন শশী থারুর এবং তৃতীয় প্রভাবশালী অমিতাভ বচ্চন। ১০০ ভারতীয় সেলিব্রেটিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই প্রভাবশালীদের তালিকা। যাতে আছে শাহরুখ থেকে শুরু করে সালমান, শচীন থেকে শুরু করে মনমোহন সিংয়ের নামও। কিন্তু কেউই টপকাতে পারেনি প্রিয়াঙ্কাকে। টুইটারে তার অনুসরণকারীর সংখ্যা ২২ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৩ জন।
যৌথভাবে সমরাস্ত্র কারখানা করবে বাংলাদেশ ও তুরস্ক
আঙ্কারা, ১৩ এপ্রিল: বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে সমরাস্ত্র তৈরির কারখানা করার প্রস্তাব দিলেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তায়্যেপ এরোদগান। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কে তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি এ প্রস্তাব দেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ঘটাতে ইচ্ছুক তুরস্ক। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে তিন বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের বাণিজ্য করার আশা প্রকাশ করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তায়্যেপ।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেই সমরাস্ত্র তৈরির কারখানার প্রস্তাব দেন তায়্যেপ। তিনি বলেন, “সমরাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে তুরস্কের একটি বিশেষ অবস্থান রয়েছে বিশ্বের কাছে। তাই বাংলাদেশে এ ধরনের কারখানা স্থাপন করতে তুরস্ক সাহায্য করতে পারে।”
তিনি বলেন, ‘‘সমরাস্ত্র কারখানা তৈরির জন্য অবকাঠামো ও কৌশলগত বিষয়ে তুরস্কের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে কাজ করবে।’’
শুধু সমরাস্ত্র নয় যৌথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথাও বললেন তিনি। তিনি বলেন, “ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে আমরা এক দেশ থেকে অন্য দেশ অনেক দূরে। কিন্তু বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্বের সম্পর্কের দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে আছি।”
ভ্যান প্রদেশে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশের পাঠানো ১০ লাখ আমেরিকান ডলারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘বন্ধু না হলে কেউ দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায় না।’’
তিনি তারও তার দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি এও বলেন, ‘‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের যে সমর্থন ছিল তা ভুলবার নয়।”
তায়্যেপ প্রতিশ্রুতি দেন খুব শিগগিরই বাংলাদেশে সমরাস্ত্রের কারখানা ও বাণিজ্যিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির কাজ শুরু করবে তার দেশ।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার দেশ সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে যেমনটি আপনারা আমাদের পাশে রয়েছেন।
পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
ইসলামাবাদ, ১৫ এপ্রিল: একটি ওয়ানডে এবং একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২৯ এপ্রিল ওয়ানডে ও ৩০ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে লাহোরে। এটি হবে তিন বছর পর পাকিস্তানে কোনো বিদেশী ক্রিকেট দলের প্রথম সফর। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড’র বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে ক্রিকইনফো।সবশেষ শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান গিয়েছিল ২০০৯ সালে। ওই সময় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই পাকিস্তানে বিদেশী টিম যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির নেতৃত্বে একটি দল পাকিস্তান সফর করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সফরের বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। এক সময় ধরে নেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ পাকিস্তান যাচ্ছে না। কিন্তু পরে এ নিয়ে অনেক পানি ঘোলা হয়। পিসিবি সভাপতি ঘোষণা দেন, বাংলাদেশ যদি সফরে না যায় তাহলে বিপিএল-এ তারা ক্রিকেটার পাঠাবে না
ভারতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির ওপর শর্ত আরোপের দাবি
নয়া দিল্লি, ১৬ এপ্রিল: ভারতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির ওপর শর্ত আরোপের দাবি করেছেন বস্ত্রপণ্য প্রস্তুতকারীরা।বাংলাদেশ যাতে ভারত থেকে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানি করে সেই মর্মে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলতে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ করেছে ভারতের বস্ত্রপণ্য প্রস্ততকারকদের প্রধান সংগঠন, কনফেডারেশন অফ ইণ্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (সিটি)।
সিটি-র মহাসচিব ডি কে নায়ার বিবিসিকে বলেন, বিনাশুল্কে ভারতে আমদানি হয়ে আসা বস্ত্রপণ্যের ওপর এই শর্ত প্রয়োগ করা জরুরি।
এই প্রসঙ্গে নায়ার বলেন, “চীনের বস্ত্র কাঁচামাল হিসাবে বাংলাদেশে যাচ্ছে এবং রেডিমেড পোশাকে পরিণত হচ্ছে। পরে তা ঢুকছে ভারতের বাজারে। আমার মনে হয়, একটা শর্ত ভারতের দেয়া উচিত। শর্তটি হলো বিনাশুল্কে বাংলাদেশের পোশাক তখনই ঢুকতে দেয়া হবে যখন তা ভারতের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে বিনাশুল্কে তৈরি পোশাক আসার ফলে ভারতের কাপড়, সুতা এবং পোশাক শিল্প মার খাচ্ছে।”
গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময়ে ৪৭টি বস্ত্রপণ্যকে বিনাশুল্কে ভারতে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বেশকিছু তৈরি পোশাক ছিল।
ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ সেসব পোশাকের কাঁচামাল চিন থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে আর তাতে ক্ষতি হচ্ছে তাদের। এর ফলে ভবিষ্যতে তারা আরো বড় বিপদে পড়বেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নায়ার।
‘চীনের কাপড় দামে সস্তা’
কিন্তু ভারতের বস্ত্রপণ্য প্রস্ততকারকদের এই দাবি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা প্রত্যাখান করেছেন।
বিজিএমইএ-র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ভারতের তুলনায় চিন অনেক সস্তায় কাপড় জোগান দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “ভারতের তুলনায় চিনের কাপড় অনেকটাই সস্তা। একটা ডেনিম ফ্যাব্রিক যদি চিনে গজপিছু দুই ডলার হয়, তবে ভারতে তা দুই ডলার বিশ সেন্ট। ফলে আপনি যখন হাজার হাজার গজ কিনছেন তখন প্রতিযোগিতায় আপনি অনেকটাই পিছনে পড়ে যাচ্ছেন।”
মহিউদ্দিন জানালেন, গত ছ’মাসে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানিকারকদের ব্যবসা বেড়েছে ১০০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে সুতা ও তুলাসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি করলেও দামের কারণে কাপড় আমদানিতে তারা উৎসাহী হন না। সূত্র: বিবিসি।
সাক্ষী অসুস্থ, সাঈদীর বিরুদ্ধে জবানবন্দি গ্রহণ হয়নি
ঢাকা, ২২ ফেবুয়ারি: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় আটক জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২৮তম সাক্ষীর জবানবন্দি বুধবার গ্রহণ করা হয়নি।২৮তম সাক্ষী আফরোজা পারভীন অসুস্থ থাকায় জবানবন্দি ও জেরা বৃহস্পতিবার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
তিনি বলেন, “বুধবার ২৭ তম সাক্ষী সাইফ হাফিজুর রহমান খোকনের বোন আফরোজা পারভীন জবানবন্দি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজি করা হয়নি।”
এর আগে গত সোমবার বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর উপস্থিতিতে সাইফ হাফিজুর রহমান খোকনের জবাবনবন্দি ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই ট্রাইব্যুনাল সাঈদীর বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আমলে নেয়। এর আগে ১১ জুলাই ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করে প্রসিকিউশন।
৩১ মে মঙ্গলবার সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের চার হাজার ৭৪ পৃষ্ঠার ১৫ খণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়া হয়।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এক মামলায় সাঈদীকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ পর্যন্ত সাঈদীর বিরুদ্ধে ২৭জন সাক্ষী তাদের জবࢾনবন্দি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে।
বার্তা/এফএইচ/জবা
আমিও তত্ত্বাবধায়ক চাই: এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে নই। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। আমি মানুষের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলবো, আমিও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জে একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের বই ‘ভিউজ আনকাট’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, আমি ৬ বছর জেলে ছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমার প্রতি অনেক জুলুম করেছে, অবিচার করেছে। আমি তাদের মনে-প্রাণে ঘৃণা করি। কিন্তু দেশের প্রতিটি মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। আমিও দেশের মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চাই। কারণ এ সরকারের মাধ্যমে যদি দেশে শান্তি ফিরে আসে। এরশাদ বলেন, আমি পরিবর্তনের জন্য এসেছি। আমার জীবনের সব চাওয়া-পাওয়া হয়ে গেছে। আমি খেটে খাওয়া-গরিব মানুষের জন্য, অনাহারক্লিষ্ট মানুষগুলোর জন্য কিছু করে যেতে চাই। তাদের বুকে আমার নাম লিখে যেতে চাই। প্রবীণ আইনজীবী লেখক আবু আলী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, ডাকসু’র সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক ছাত্রনেতা নূরুল ফজল বুলবুল, এডভোকেট ফজলুর রহমান, জাপা নেতা বাবরুল হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, গ্রন্থের লেখক পীর হাবিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জহুর আলী প্রমুখ।পয়লা বৈশাখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন জানিয়েছেন, বাংলা নববর্ষ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ সময় পুলিশের বোমা ডিজপোজাল ইউনিটে নতুন সংযোজন হওয়া রোবটের কার্যক্রম দেখানো হয়। এর মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে বোম বা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হবে।
অতিরিক্ত নিরাপত্তা বলয় মানুষের উৎসবকে বাধাগ্রস্ত করবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, “মানুষ আশা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এ জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মানুষ সাদরে গ্রহণ করে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রমনা এলাকায় সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
সাহারা খাতুন দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।
পয়লা বৈশাখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন জানিয়েছেন, বাংলা নববর্ষ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ সময় পুলিশের বোমা ডিজপোজাল ইউনিটে নতুন সংযোজন হওয়া রোবটের কার্যক্রম দেখানো হয়। এর মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে বোম বা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হবে।
অতিরিক্ত নিরাপত্তা বলয় মানুষের উৎসবকে বাধাগ্রস্ত করবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, “মানুষ আশা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এ জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মানুষ সাদরে গ্রহণ করে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রমনা এলাকায় সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
সাহারা খাতুন দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।
ধিক্কারজনক বক্তব্যঃ ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র ধ্বংস করতে তারা নতুন কল্পকাহিনী তৈরি করছে।
আজ শনিবার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল সীমান্তের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয় বলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘আশরাফকে ধিক্কার জানাই। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে রক্ষা করতে পারছে না। তাই তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’
বিএনপির নেতা ফখরুল আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছে। এখনো এই সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করতে নতুন ষড়যন্ত্র মেতেছে।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় সেনা-সমর্থিত সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুস্তাহিদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ লোকে লোকারণ্য
১৪ দলের মহাসামবেশকে ঘিরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। লোকে লোকারণ্য হয়েছে পুরো এলাকা। বিকেল তিনটায় মহাসামাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। তাদের হাতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে। নেতা-কর্মীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কলঙ্কিত পিলখানা ট্র্যাজেডির তিন বছর
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি: আজ কলঙ্কিত বিডিআর বিদ্রোহের তিন বছর। রক্তাক্ত পিলখানা হত্যার শোকাবহ দিন। ২০০৯ সালের এদিনে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ার ইতিহাসে সেনাকর্মকর্তা হত্যার এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছিল। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত নির্মম ট্র্যাজেডি দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়কে যেন ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। দিনটি স্মরণে শনিবার সরকারিভাবে ‘পিলখানা হত্যা দিবস’ পালন করা হবে।সেদিন পিলখানায় অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচির দুর্নীতি নিরসন, বিডিআর সদস্যদের জাতিসংঘ মিশনে অন্তর্ভুক্তি, বিডিআরের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাহিনী পরিচালনাসহ বেশ কয়েকটি দাবির নামে বিদ্রোহ ঘোষণা করে কিছু জওয়ান। ঘটনার পরপরই দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক সচিব আনিস-উজ-জামানকে সভাপতি করে ১২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়।
২০০৯ সালে এই বিদ্রহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৫জন নিহত হয়। আহত ও লাঞ্ছিত হন অনেকেই। ঘাতকদের হাত থেকে সেদিন রেহাই পায়নি গৃহপরিচারিকা, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা, শিক্ষার্থীসহ নিরীহ সাধারণ মানুষও। দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিডিআরের হাজার হাজার পরিবার। এ অভিশাপ কেবল ভুক্তভোগী সেনা ও বিডিআর সদস্যদের পরিবারই নয়, গোটা জাতিকেই তা বহন করতে হচ্ছে। স্তম্ভিত হয়ে যায় বিশ্ববিবেক। বিশ্বের ইতিহাসে এমন নৃশংস ঘটনার নজির আর নেই। অজানা আতঙ্কে গোটা জাতি ছিল সেদিন উৎকণ্ঠিত।
কিন্তু এটা শুধু একটি হত্যাকাণ্ডই ছিল না এটি ছিল স্পষ্টত আমাদের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার একটি সফল অভিযান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও কোনো দেশের একসঙ্গে সেনাবাহিনীর এতো কর্মকর্তা হারানোর নজির নেই যা সেদিন পিলখানায় হয়েছিল। রক্তাক্ত সময়ের দীর্ঘ তিন বছর পরও দেশবাসীর মন থেকে কিছুতেই মুছে যায়নি সেই দুঃসহ স্মৃতি। থামানো যায়নি স্বজনহারাদের সেই কান্না। বিদ্রোহের পর বিডিআরের আইন, নাম, পোশাক, পতাকা ও মনোগ্রামসহ অনেক কিছুই পাল্টে দেয়া হয়েছে। বিডিআরের নিজস্ব আইনে বিদ্রোহ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সেক্টর অথবা ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে এবং ফৌজদারি আইনের মামলার পৃথক দুটি চার্জশিটে আসামিদের বিচার কাজ চলছে।
২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে রাইফেলস সপ্তাহের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিল বর্ণাঢ্য ওই আয়োজনের দ্বিতীয় দিন। ২৬ ফেব্রুয়ারি নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন আর উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল রাইফেলস সপ্তাহ। কিন্তু তার আগেই ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে যায় এক করুণ মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ। সেদিন সকাল ৯টায় যথারীতি পিলখানার দরবার হলে বসেছিল বার্ষিক দরবার। সারাদেশ থেকে আসা বিডিআরের জওয়ান, জেসিও, এনসিওসহ বিপুল সদস্য তখন পরিপূর্ণ গোটা দরবার হল। দরবার হলের মঞ্চে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমদসহ বিডিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সকালে আনন্দ মুখর পরিবেশে শুরু হয়েছিল দরবারের নিয়ম মাফিক কর্মসূচি। দরবার হলে সবাই সারিবদ্ধভাবে বসেছিলেন। সামনে ছিলেন বিডিআর ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দরবার হলের আলোকিত পরিবেশ রূপ নেয় ঘোর অমাবস্যার অন্ধকারে।
হঠাৎ দরবার হলের দক্ষিণ-পূর্ব দরজা দিয়ে রান্নাঘরের দিক থেকে অস্ত্রহাতে ঢুকে পড়ে একজন। তার পিছু পিছু আরও দু’জন। পরে জানা যায়, প্রথম যিনি অস্ত্রহাতে দরবার হলে ঢুকেছেন, তার নাম সিপাহি মাইন। তার পিছু পিছু আরো যে দু’জন ঢুকেছিলেন তারা হচ্ছেন সিপাহি কাজল আলী ও এবি সিদ্দিক। তারা সবাই ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সদস্য। দরবার হলের মঞ্চে উপবিষ্ট তখনকার মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের দিকে অস্ত্র তাক করে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলতে শুরু করে সিপাহি মাইন। এ সময় দ্রুতগতিতে তখনকার ডিডিজি ব্রিগেডিয়ার এমএ বারী অন্য কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাকে নিরস্ত্র করেন। পরে কাজল আলী ও এবি সিদ্দিক দরবার হল থেকে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় দরবারে অবস্থানরত জওয়ানদের একজন জাগো বলে চিৎকার করে ওঠে। এ সময় মেগাফোনধারী মুখোশ পরা সশস্ত্র ৫ যুবক দরবার হলে প্রবেশ করে ব্রাশফায়ার শুরু করে। হঠাৎ গুলির শব্দ। এরপর ক্ষণিকের নীরবতা, সবাইকে থামানোর চেষ্টা করেন ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমদ। তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। গুলি চলতে থাকে অবিরাম। সব উৎসব-অনুষ্ঠান ম্লান করে দিয়ে প্রায় দুই দিন ধরে চলে বিদ্রোহ। নারকীয় তাণ্ডবে মেতে ওঠে একদল বিডিআর জওয়ান।
বিদ্রোহী ঘাতকরা তৎকালীন ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমদকে দরবার হল থেকে টেনেহিঁচড়ে সামনের রাস্তায় নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রায় একই সময় ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয় ৬ সেনা কর্মকর্তাকে। বিদ্রোহের নামে পৈশাচিক উন্মাদনায় রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠে তারা। অস্ত্রাগার ভেঙে ভারি অস্ত্র নিয়ে সদর দফতরের ভেতরে কর্মকর্তাদের বাসায় বাসায় ঢুকে হামলা ও লুটপাট চালায় ঘাতকরা। ডিজির বাসায় ঢুকে তার স্ত্রী নাজনীন শাকিল ও গৃহপরিচারিকাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সে দিন তার বাসায় বেড়াতে আসা স্বজনরাও রক্ষা পায়নি ঘাতকের হাত থেকে। ভেতরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চললেও বিদ্রোহীদের একটি দল ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয় বিভিন্ন গেটে। ৩ নম্বর গেট দিয়ে বিদ্রোহীরা মর্টার শেল ছুড়তে থাকে। পিলখানার প্রবেশ পথগুলোতে আর্মড কারসহ গোলাবারুদের গাড়ি ও এসএমজি বসিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি চালানো হয়।
পিলখানা হত্যার সেই বীভৎসতা সমগ্র জাতির কাছে কলঙ্কিত এক ইতিহাস। শতাধিক সেনা পরিবার বিডিআরের বিপথগামী ঘাতকদের হিংস্র পৈশাচিক থাবায় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতিম হয় অনেক শিশু। অর্ধশতাধিক নারী হয়েছিলেন বিধবা। বহু পিতা-মাতার বুক খালি হয়। এই অভিশাপ কেবল ভুক্তভোগী পরিবারগুলোরই নয়, গোটা দেশ ও জাতির। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পিলখানা বিডিআর সদর দফতরে নজিরবিহীন নৃশংসতার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দু’দিনের বিভীষিকা থামিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করে বিদ্রোহীরা। আগেই পালিয়ে যায় প্রকৃত খুনিরা।
মৃত্যুপুরী
প্রায় ৩৬ ঘণ্টা বিদ্রোহের পর পিলখানা পরিণত হয় একটি মৃত্যুপুরীতে। পিলখানায় শুধু লাশ আর লাশ। রক্ত আর রক্ত। পোড়া গাড়ি, পোড়া বাড়ি, ভাঙা গ্লাস, ঘাসের ওপর তাজা গ্রেনেড, চারদিকে শুধু ধ্বংসচিহ্ন। সেনা কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারগুলোর তছনছ অবস্থা। বিভিন্ন স্থাপনায় জ্বালাও-পোড়াওয়ের দৃশ্য। ড্রেনের ম্যানহোল থেকে আসে রক্তের উৎকট গন্ধ।
২৫ ফেব্রুয়ারি সারাদিন ও রাতে পিলখানায় যে হত্যাযজ্ঞ আর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বিচারে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পর লাশ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে খোদ ঘাতকরা। তাই আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে চলতে থাকে লাশ গুমের কাজ। পিলখানার ভেতর বিশেষ মেশিন দিয়ে লাশগুলো ধ্বংস করার ব্যর্থ চেষ্টা হয় বলে পরে জানা গেছে। কয়েক সেনা কর্মকর্তার লাশ ফেলে দেয়া হয় ম্যানহোলে। পরের দিন সেগুলো বুড়িগঙ্গার কামরাঙ্গীরচর পয়েন্টে ভেসে উঠলে আর কিছুই বুঝতে বাকি থাকে না কারও। বাকি লাশ গুম করতে একের পর এক গণকবর খোঁড়া হয়। পিলখানা পরিণত হয় বধ্যভূমিতে। প্রথম দফায় কামরাঙ্গীরচরে একটি স্যুয়ারেজ লাইন থেকে কয়েক দফায় ৯ সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হাসপাতালের পেছনে একটি গণকবর থেকে তোলা হয় একসঙ্গে ৩৯টি লাশ। একটি গ্যারেজ মাঠের পাশের গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় আরো নয়টি লাশ। এ বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, একজন সৈনিক ও দু’জন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীসহ ৬১ জন নিহত হন। সেনা কর্মকর্তাদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান সাত বিডিআর জওয়ান। বিভিন্ন গেট থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়ায় আশপাশের আরও ৭জন পথচারী নিহত হন। এ ঘটনায় সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫ জনে।
বিচার
বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় হাজার জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চার হাজার ৪৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে ঢাকায় তিন হাজার ৪৬৩ ও ঢাকার বাইরে ৫৮৪ জন। এছাড়া ফৌজদারি অভিযোগ তদন্ত সংস্থা সিআইডি গ্রেফতার দেখায় প্রায় দু’হাজার ৩০০ জনকে। টাস্কফোর্স ফর ইন্টারগেশন (টিএফআই) সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দু’হাজার ২৮০ জনকে। পাঁচ শতাধিক জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। পরবর্তীতে ৩০০ শতাধিক আসামি ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করে।
বিচার শরু হওয়ার এক পর্যায় হঠাৎ করেই রিমান্ডে নেয়া বিডিআর সদস্যদের মধ্যে তথাকথিত আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয় আশঙ্কাজনক হারে। কথিত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও অনেকের মৃত্যু হয়। যদিও সরকার অস্বাভাবিক এসব মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি করে। বিদ্রোহের পর নিরাপত্তা হেফাজতে মারা যাওয়া প্রায় ৭৫ জওয়ানের কেউ নির্যাতনে মারা যায়নি বলে রিপোর্ট দেয় সরকারি তদন্ত কমিটি। তাদের মধ্যে নয় জন আত্মহত্যা ও অন্যদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বিদ্রোহের পরপরই পলাতক বিডিআর সদস্যদের গ্রেফতার, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দেশজুড়ে অপারেশন রেবলহান্ট পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এতে তেমন কোনো সফলতা আসেনি। বিদ্রোহের দুই বছরের মাথায় এসে দুটি ক্যাটাগরিতে বিচার কাজ চলছে। একটি বিডিআরের নিজস্ব আইনে বিদ্রোহ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সেক্টর ও ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে স্থাপিত আদালতের মাধ্যমে। এতে তদন্ত শেষে পিলখানার নয়টিসহ ৫৮টি ইউনিট বিদ্রোহে অংশ নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজে অংশগ্রহণকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হয়েছে। সেনা কর্মকর্তাদের বাসায় ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনের মতো নৃশংস সব ঘটনা একের পর এক প্রকাশিত হয়। দরবার হলের সিসি টিভিতে রক্ষিত ভিডিও ফুটেজ, বিভিন্ন আলামত থেকে ঘাতকদের শনাক্ত করা হয়। হত্যা মামলায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৩টি ধারায় ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে এবং বিস্ফোরক আইনের দুটি ধারায় ৮০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পিলখানা বিদ্রোহে হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগকারী ও বিস্ফোরক মামলায় আসামিদের বিচার কোনো আইনে হবে সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের মতামত অনুসারে। সিআইডির তদন্তে এ ঘটনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা ষড়যন্ত্র পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সিআইডির চাজর্শিট মোতাবেক পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিডিআর মহাপরিচালকসহ ৫৭ অফিসারকে হত্যা করা হয়।
নতুন নাম
এদিকে ২০১০ সালের ২৩ জানুয়ারি বিডিআর আইন পরিবর্তন করে নতুন নাম বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে। বদলানো হয়েছে পোশাক, পতাকা এবং মনোগ্রামসহ অনেক কিছু। বাহিনীর ব্যাপক পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্যে নতুন করে চারটি আঞ্চলিক সদর, চারটি নতুন সেক্টর এবং ১১টি নতুন ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরতে কমান্ড স্তরের নিম্নপর্যায় থেকে বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত গোয়েন্দা কাঠামো প্রবর্তন করা হয়েছে।
বিভিন্ন কর্মসূচি
বিদ্রোহের তিন বছর উপলক্ষে সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বনানী কবরস্থানে সমাধিস্থ শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। পিলখানার মাল্টিপারপাস ট্রেনিংশেডে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক এবং শহীদের স্বজনেরা উপস্থিত থাকবেন।
বা২/এসকে/জাই
No comments:
Post a Comment
Google
Note: Only a member of this blog may post a comment.